পৃথিবী জয়ের ইতিাস ও কালের চক্র

পৃথিবী জয়ের ইতিাস ও কালের চক্র
আওলাদ হোসেন

পৃথিবীকে জয় করতে গিয়ে যারা আত্মত্যাগ করেন, জুলুম অত্যাচার করেন, আথবা সৃষ্টি ধর্মী কাজ কর্ম করে নিজেকে পৃথিবীর ইতিহাসে অমর অক্ষয় করে রেখে যান, কালের চক্রে সেই অবদান অন্যায় অবিচার অথবা সৃষ্টি কর্মের মূল্যায়ন কিভাবে হয়ে থাকে তা যুগে যুগে দেশে দেশে যে বিচিত্র রূপ ধারণ করে তা একবারের জন্যই হয়ে থাকে, দ্বিতীয় বার আর সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার কোন সুযোগ থাকে না, কালের চক্রে তা বিলীন হয়ে যায়। যেমন রাজতন্ত্র ১০০ বা ২০০ বৎসর রাজত্ব করার পর তার আর কোন অস্তিত্ব রইল না। কিন্তু সেই নিষ্ঠুর অত্যাচার অথবা স্বর্ণযুগ ইতিহাস হয়ে রইল। ভালোর বিপরীতে মন্দ এবং মন্দের বিপরীতে ভাল স্থান দখল করে থাকে। অর্থাৎ আগে যদি জানতাম মন কিরে চাইতাম। ঠ্যাং যখন গাতায় পড়ে তখন এই উপলব্ধি প্রকট হয়ে দেখা যায়। পরিবার সমাজ, রাষ্ট্র পৃথিবী ঠিক এই নিয়মেই চলছে। আগে জানলে সব কিছুই উল্টে যেত কিন্তু তা হবার নয়। রংপুর এর এক অশিতিপর বৃদ্ধা চেয়ারম্যানকে খোঁজ করছিল আর বলেছিল ভোট লাগিবার নয়, ভোট! এই ভুলটি আমাদের দেশে আমরা সবাই করছি। উন্নত দেশে তা হয় না। প্রতিদান প্রতিশোধ হিসেবে গণ্য হয়না প্রতিরোধী বলে মনে করা হয় না। প্রতিরোধ বলে মনে করা হয় না। পৃথিবী জয়ের ইতিহাসে আগে জানার কোন উপায় নাই। এই লেখাটি গোড়া থেকে টানতে গেলে অনেক সময় প্রয়োজন যা পাঠকের ধৈর্য্যরে বিচ্যুতি ঘটবে। মতামত বা উপসম্পাদকীয় হিসেবে পত্রিকা থেকে আজ (১-৬-১৯) পাওয়া গেল আমিও একদিন ছিলাম তোমাদের মত প্রফেসর ড. এম,এ, মান্নান সফলতার স্বর্ণ শিখরে নি:সঙ্গতার আর্তনাদ গোলাম মওলা রনী। পাকিস্তানী দশায় পেয়েছে লংকানদের রামপুরে গৃহবধূকে নিয়ে দুই স্বামীর টানাটানি (প্রবাসী অবশ্যই)। হামিদ-মোদি বৈঠক-রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে-মোদি। অবশেষে একেখন্দকার মাফ চেয়েছেন এই ভাবে প্রতিদিনের পত্রিকায় সুন্দর সুন্দর অথবা রগরগে দেশী বিদেশী কাহিনী দিয়ে পত্রিকা সাজানো হয়ে থাকে। একদিকে আনন্দ অপর দিকে নিরানন্দ।

আমার ফেসবুকে ধর্ম ও বিজ্ঞান নামে একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে কোন বনে ডাকিলোরে কোকিল কাহারো লাগিয়া-ধূয়া। অনেকেই সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করেছেন , আমার নিজেরই বিশ্বাস হতে চায়না আমিই লিখেছি এবং ঐ লেখা আর হবে না। আজ ২৭ রমজান কুদরতের রাত্রি হাজার মাসের চাইতে উত্তম। মসজিদ বোঝাই, কেউ বাদ যাবে না, তারপরই ২১শে ফেব্র“য়ারী এখন আকাশ সংস্কৃতি চলছে, ২৭শে রজব এমনই একটি পবিত্র রাত্রি পার হয়ে গেছে। তারপর যেই লাউ সেই কদু। মুসলমানেরা এই দেশে এসেছিল আল্লাহর নাম প্রচার করার জন্য। তখন তাই ছিল এটা কোন অপরাধ ছিল না বাবা আদম কাশ্মিরী তার প্রমান। তার পর কালের চক্রে মুসলমানেরা বাঙালি হওয়া শুরু করল আর অধ: পতন তখনই শুরু হল আর বদলা নেয়ার প্রচলন শুরু হল এ ইতিহাস বাঙালিদের মুখস্ত। এখন চলছে ধর্ম যার যার এর যুগ। আমাদের দেশে এখন বৃটিশ আমলের উল্টা রীতি রীতিমত চালু হয়েছে। স্থানীয় শাসনের ভোট পাওয়া সদস্যরা কিছু দিন পূর্বেও প্রকৃত ভোট পাওয়া এবং পাবলিক ফান্ডের টাকা মারার কোন প্রশ্নই উঠতো না। পরে জানলাম চেয়ারম্যান প্লাজা তাদের একজন। এটাকেই বলা হয়েছে ইতিহাস এবং কালের চক্রের ক্ষুদ্র পরিসরের উপমা, বৃহত্তর ক্ষেত্র পৃথিবী জয়ের ইতিহাস আর কালের চক্র আরো নির্মম কিন্তু নিরর্থক নয়। শুনেছি রোগ তার খোলস পরিবর্তন করে এবং এন্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হারায় অর্থাৎ রোগকে জয় করে এবং পরবর্তীতে আরও ব্যাপক আকারে পরিবর্তিত রূপে আবির্ভাব ঘটে। মানুষের জীবনেও তাই। বদলা নেয়ার ইতিহাস বড় ভঙ্কর এবং নির্মম। এইবার ইউনুস নবীর কাহিনী এসে গেল পয়সা কামাই করার জন্য। পীর সাহেবদের ও সুযোগ এল/ কেহ কাহারো পাপের ভাগী হবে না, একজন অপর জনের বোঝা বহন করবে না অথবা আল্লাহ কারও উপর তার অতিরিক্ত বোঝা বহনের জন্য চাপিয়ে দেন না। অথচ বাংলায় আল-কুরআন না পড়ার কারনে তা জানতেও পাল না। আর এই কেরামতির বিষাক্ত ছোবলে ইসলাম প্রচারে, প্রসারে কঠিন দিন গুলোকে কুরআনের বর্ণনায় ঈমানের পরীক্ষায় ক্ষত বিক্ষত হয়ে নিজেকে প্রকৃত মুসলমান হিসেবে মুনাফিকদের কাছ থেকে নিজেকে পৃথক হওয়ার প্রমান দিতে হবে। সেই প্রমাণ এখন কালের চক্রে উল্টো দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। তবুও প্রতিটি পর্বে ধিকি ধিকি করে ধর্মের বাতি জ্বলছে আর তারপরেও কে কত ধর্ম নিরপেক্ষ তার প্রমান দিতে বাধ্য হচ্ছে। এটারই রূপান্তর ঘটছে বাঙালির আবরনে। জয় হোক বাঙালির পথ চলা। ইউনুস নবীকে মাছে গিলেফেল্ল, আল-কুরআনের অংশটুকু পড়ে নিবেন আর মুনাফিককে জেনে নিবেন। কেউ কাউকে শিক্ষা দেয়না, যেটুকু দেয় টাকা কামাই করার জন্য তবে এতে কোনটি জায়েজ আর কোনটি না জায়েজ তা নিয়ে বিভিন্ন মত আছে। আলেম সাহেবরা পান-সিগারেট খান না বা খাবেন না বলে এখন ওয়াজ করা হয়ে থাকে। সবচেয়ে দূর্ভাগ্য মৃত্যু কালে যে সমস্ত দোয় দরুদ পড়া হয় বাস্তব জীবনে কেন তা পালন করা হয় না? মরতেই যদি হয় তাহলে ভালভাবে মরাইতো ভাল। ইদানীং ধর্মনিরপেক্ষরা একটু খামোশ আছেন কারণ তারা চামচাগিরি করে টু পাইস কামাই করতে পারছেন না, কারণ বাজারে তাদের দাম বা কদর নেই। তাদের দাবী দাওয়া এখন আর পাত্তা দেয়া হয় না। এর কারণও একই। ইতহাস ও কালের চক্রে ছিটকে পড়া। পৃথিবী জয়ের ইতিহাসও এর নায়কদেরতো জানা হলো যা ব্যাপক এবং সম্পূর্ণ জানা সম্ভব হবে না। ভোট কখন দেব, কিভাবে দেয়া হবে তার শিক্ষা এবং সমর্থন আমরা পেয়েছি এখানে দুই কথা নেই কিন্তু পৃথিবী জয় করা বা বদলা নেয়াই কি জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। আকাশ জয় করতে না পারলে এজীবনের মূল্য কি? এ জন্ম এলো কোথা থেকে কিভাবে জানা যায় নাই। রূপবান যাত্রা আর নব নব আবিস্কার আমাদের সভ্যতাকে কোথায় নিয়ে ঠেকিয়েছে, পিতা-মাতাকে সেবা করা বেহেশত প্রাপ্তির প্রধান শর্ত এখন পত্রিকায় দেখা যায় তার নিষ্ঠুরতা। সরকার এ ব্যাপারে যথার্থই এগিয়ে এসেছেন। আকাশ জয়ের কাহিনী মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিজ্ঞান কিছুটা তথ্য দিতে শুরু করেছে, যা জয় করা সুদূর পরাহত কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই। আল-কুরআনে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অলৌকিক ঘটনাবলী পরিশেষে পৃথিবীতে ছ্যাকা খাওয়াদের ইতিহাস লেখা সম্ভব হলো না কারণ বিভাজন খুবই কঠিন। দু’টি বিশ্বযুদ্ধেই মুসলমানদের অবস্থান কি ছিল? এটা একটা আলামত ভালকে ভাল বলা এবং মন্দকে মন্দ বলার দিন শেষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!