অর্গাননের মর্মার্থ অনুধাবনে অপারগতাই অযোগ্যতা

অর্গাননের স্ত্রূ বুঝতে পারা যে কত কঠিন তার কিছু নমুনা বা উদাহরণ ডা. রেজাউল করিম এর organon of medicine এর সহজ ব্যাখ্যা বইটি থেকে সংক্ষেপে তুলে ধরছি। যদি কোন পাঠক বলেন যে, অর্গানন বইটি পড়ে শেষ দিয়েছি তাতে ভুল করা হবে, কারণ সূত্রের নিত্য নতুন ব্যাখ্যা ক্রমেই মনে হতে থাকে। সূত্র-১৭১ঃ অযৌন চিররোগ, ঐগুলো সর্বাধিক সর্বজনীন, অতএব, যা সোরাদোষ থেকে উৎপন্ন হয়, তা আরোগ্য করতে, আমাদের প্রায়ই কতগুলো এন্টিসোরিক ঔষধ পরপর প্রদান করার দরকার হয়, পরপর প্রদত্ত প্রত্যেকটি ঔষধ পূর্ববর্তী ঔষধের ক্রিয়া সমাপ্তির পর অবশিস্ট লক্ষণগুচ্ছের সাথে সাদৃশ্য অনুসারে নির্বাচিত হতে হবে।
ব্যাখ্যা-সোরাদোষ থেকে এন্টিসোরিক ওষুধ থেকে সদৃশ অনুসারে নির্বাচিত হতে হবে। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় এই সূত্রে কি বলা হয়েছে? উত্তরটি কি খুবই সহজ? প্রশ্ন করতেই পারি সোরাদোষ কি? উত্তরটি কি সহজ হবে? তারপর প্রশ্ন হচ্ছে আনটিসোনিক ওষুধ কি? এর উত্তরও অবশ্যই সহজ নয়-কারণ এসব বিষয় জানতে হলে ক্রোনিক ডিসিস বইটি পড়ে নিতে হবে। তাহলে দেখা গেল ১৭১ সূত্রটি ছোট কিন্তু এর ব্যাখ্যা অনেক বড়। ফলে সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীরা জ্ঞানী ও দক্ষ শিক্ষকের অভাবে এই সূত্রটির মর্মার্থ অনুধাবনে অপারগ হবে এবং হোমিওপ্যাথি থেকে ছিটকে যাবে। কারণ এই ব্যাখ্যা না জানার কোন বিকল্প নেই। এখন দেখা যায় সোরা একটি মায়াজম যা হ্যানিম্যান বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ৪র্থ বর্ষের ছাত্ররা পড়ে থাকে (সূত্র-৫)। আদি রোগবীজ-সোরাই সকল অযৌন রোগের নেপথ্য কারণ। সকল রোগযন্ত্রনা এবং লক্ষণসমূহ আবিষ্কার করবেন,তারপর এক বা একাধিক ঔষধ আবিষ্কার করবেন। সোরা সম্বন্ধে ডা. হ্যানিম্যান বলেছেন যে সোরা চিররোগবীজ ব্যক্তি মানুষদের বিভন্ন দৈহিক ধাতে যারা একজন অন্যজন থেকে আলাদা তাদের নিবাসে, জলবায়ু শিক্ষা অভ্যাস পেশা পথ্য এবং জীবন প্রণালী, বিচিত্র দৈহিক ও মানসিক সম্পর্ক দ্বারা গঠিত হয়েছে। অতএব একটি এবং একমাত্র ঔষধ দ্বারা সাকুল্য সোরা আরোগ্য হবে। অপর্যাপ্ত অন্যত্র বলেছেন (১৩৫পৃঃ) এন্টিসোরিক চিকিৎসায় সর্বদা সর্বপ্রথম সর্বশেষ প্রকাশিত লক্ষণটি প্রশমিত হয়। স্থির স্থানীয় ব্যাধি সর্বশেষ দূর হয় (হেরিংস ল)। তারপর রোগীর অনুরোধে যন্ত্রনাকর কোন লক্ষণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে আগে অপসারন করা যাবে না। যেমন চর্মরোগ, আঁচিল আগেই অপসারন করা হয় এতে রোগীকে কিছুতেই সুস্থতা দান করা সম্ভব হবে না কারণ রোগীর মূল লক্ষণ আগেই সরিয়ে ফেল্লে চিকিৎসার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এন্টিসোরিক ঔষধ সেবনকালে যে লক্ষণগুলো অনেকদিন পর পুনরায় প্রথম অনুভব করেন তার নিচে এক দাগ। এগুলো ডুবে থাকা সাবেক লক্ষণ। চিকিৎসায় অনেকবার প্রত্যাবর্তণ করতে পারে। অর্থাৎ রোগী তখনও নির্মূলভাবে আরোগ্য হয় নি। কিন্তু যদি নতুন লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং কিল খাওয়ার উপক্রম হয় লক্ষণ গুলোর নিচে দুই দাগ দিবেন। এখানে সদৃশ ঔষধ নির্বাচন করতে হবে যাতে পরিপূর্ণতা লাভ করে। যদি দীর্ঘদিনের রোগ যন্ত্রনা তৎক্ষনাতভাবে উপশম হয় মনে করতে হবে ঔষধটি বিপরীতভাবে ক্রিয়া করেছে তখনই এন্টিডোট করতে হবে, ঢেউয়ের গতির মত উঠানামা করে। চিকিৎসা যখন অর্ধসমাপ্ত হয় তখন সুপ্ত সোরা চিররোগে শেষ চিহ্ন অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা দিতে হবে অন্যথায় নতুন চিররোগের বিকাশ ঘটতে পারে। যুবকের ক্ষেত্রে যে সময় লাগে বার্ধক্যে অতিরিক্ত সময় লাগে। পলিপাস দীর্ঘদিন দেহে অবস্থানে সমূলে ধ্বংস করতে বেশি সময় লাগতে পারে যা সাধারণ রোগী ধৈর্য ধারণ করতে চান না। কোন বলকারক ওষুধ ছাড়াই মানসিক স্বস্তি এবং দৈহিক বলশক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে। সকালে খালি পেটে জলে মিশিয়ে ঝাঁকি দিয়ে শক্তির পরিবর্তন ও বিকাশ ঘটিয়ে সেব্য নাক্স ভোম ছাড়া। অনেক কারণে ওষুধের ক্রিয়া নষ্ট হয়। স্তন্যপায়ী শিশুদের মাকে ওষুধ সেবনে শিশুকে অনাবশ্যক। এ সবই সূত্রের চিররোগ চিকিৎসার ব্যাখ্যা যা অর্গাননের শিক্ষার সংগে জড়িত। ডা. কেন্ট তার দর্শন বইয়ে সবিস্তার বিবরণ পৃথক সাহিত্যের সংযোজনা করেছেন যা প্রনিধানযোগ্য। ডা. হ্যানিম্যানের সোরা মায়াজমের আবিষ্কার এবং ওষুধ আবিষ্কার দীর্ঘ সময়ের বিষয় এবং চিররোগ গ্রন্থে এর তালিকা দেয়া আছে। এখন অর্গানন না পড়ে, চিররোগ গ্রন্থ পড়ার প্রশ্নই ওঠে না, তারপর ডা. কেন্টের বই, লেসার রাইটিং সহ অন্যান্য বই পাঠ না করে অব্যর্থ হোমিও চিকিৎসা বই পড়ে ঔষধ প্রদান ডা. হ্যানিম্যানের আমলেই হাফ-হোমিওপ্যাথ অথবা কোয়াক হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। কিন্তু ডা. হ্যানিম্যান বলেছেন এ চিকিৎসা ভাজা পায়রা না যে একবারে মুখে এসে পড়বে। উল্লেখ্য যে, পাদটিকা ৮ সূত্র ১২- জীবনীশক্তি দেহকে দিয়ে কিভাবে রোগলক্ষণ প্রকাশ করায়, অর্থাৎ কিভাবে একটি রোগ উৎপাদন করে তা জানা যায় না এবং চিরদিন তা অজ্ঞাতই থাকবে। আমরা চিররোগ বলতে জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসক শব্দ ব্যবহার করে থাকি। সূত্র-৪০ঃ অথবা নতুন ব্যাধিটি দেহে দীর্ঘদিন ক্রিয়াশীল থাকার পর, অবশেষে এর বিসদৃশ ঐ পুরাতন ব্যাধির সাথে যুক্ত হয়, এবং এর সাথে জটিল ব্যাধি গঠন করে, যাতে তাদের প্রত্যেকেই মানবদেহে বিশেষ স্থান দখল করে, অর্থাৎ যে অঙ্গ যার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী, এবং যেন, শুধুমাত্র ঐ স্থান যা বিশেষভাবে এর আয়ত্তাধীন, পক্ষান্তরে এটি দেহের অন্যান্য স্থান এর বিসদৃশ্য অপর ব্যাধিকে ছেড়ে দেয়। এভাবে সিফিলিসের রোগী সোরাগ্রস্ত হয়, এবং সোরিক রোগী সিফিলিসগ্রস্ত হয়্ যেহেতু দুটি ব্যাধি পরস্পর বিসদৃশ্য, তারা কেউ কাউকে অপসারণ করতে পারে না একটি অন্যটিকে আরোগ্যও করতে পারে না।
সূত্র-১৭২, খুব কম লক্ষণ বিশিষ্ট ব্যাধি আরোগ্যে অনুরুপ অসুবিধা হয়-এটি এমন একটি পরিস্থিতি যা আমাদের সতর্ক মনোযোগ দাবী করে, কারণ এর অবসান দ্বারা (পরীক্ষিত ঔষধের সংকট ব্যতীত) প্রায় সকল অসুবিধা যা সকল সম্ভাব্য চিকিৎসাপ্রণালীর মধ্যে সর্বাধিক নিখুঁত এ পদ্ধতির আরোগ্যপথে থাকতে পারে, তা দূর হয়।
ব্যাখ্যাঃ- এ-সূত্রে হ্যানিম্যান সদৃশ চিকিৎসাকলার সর্বাধিক কঠিন দিকটি তুলে ধরেছেন। সদৃশচিকিৎসাকলার মূল তত্ত্ব রোগের সাথে ঔষধের লাক্ষণিক সদৃশ। আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার যতই উন্নতি হোকনা কেন তা এখনো রোগের নিদানগত অবস্থা ছাড়া কিছু উদ্ঘাটন করতে পারে না। কিন্তু রোগের নিদানগত অবস্থা প্রকৃতপক্ষে রোগের ফল। সবক্ষেত্রে ফল দ্বারা সবকিছুর পরিচয় হয় না। যেমন-অনেক রোগেই গাত্রতাপ বৃদ্ধি পায়। গাত্রতাপ একটি নিদানগত অবস্থা বা কোন না কোন রোগের ফলমাত্র। এরুপ গাত্রতাপ দ্বারা প্রকৃত রোগটি নির্ণয় করা যায় না। কোন অঙ্গের ক্ষত একটি নিদানগত অবস্থা। অনেক রোগেই দেহে অঙ্গবিশেষ ক্ষত উৎপন্ন হতে পারে। তাই এ- ক্ষত দ্বারা রোগের সাকুল্য পরিচয় জানা যায় না। তদরুপ সিষ্ট, টিউমার, পলিপাস ইত্যাদি উপজন্মগুলো দৈহিক অসুস্থতার ফলমাত্র। কিন্তু সেই অসুস্থতা এর ফল দ্বারা নিরুপণ করা যায় না। রোগীর প্রকৃত অসুস্থতা প্রকাশিত হয় রোগের অসাধারণ এবং চরিত্রগত লক্ষণের মাধ্যমে। তাই রোগে যদি অসাধারণ এবং বিশেষত্বজ্ঞাপক লক্ষণের অভাব থাকে অথবা রোগের কিছু সাধারণ লক্ষণ বর্তমান থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে ঔষধ নির্বাচন করা মোটেও সম্ভব নয়। তাই এক্ষেত্রে চরিত্রগত লক্ষণ আবিষ্কার করার জন্য বিষয়টির প্রতি বেশি মনোযোগ দিতে হবে। চিকিৎসকের পক্ষ থেকে কোনরুপ অবহেলা থাকলে এ- কঠিন কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। তাকে মনে রাখতে হবে যে, একমাত্র রোগের চরিত্রগত লক্ষণ আবিষ্কারের উপর নির্ভর করে চিকিৎসার সফলতা। কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে কখনো কখনো এইরুপ চরিত্রগত লক্ষণ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তবে রোগী এবং চিকিৎসকের সতর্ক মনোনিবেশের মাধ্যমে এ সংকট নিরসন করা যায়। একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ-সংকট দূর করতে পারলে তখন তার আর কোন সংকট থাকে না যদি ঔষধ সংকট না থাকে।
এটি এখন প্রমাণিত সত্য যে, সদৃশচিকিৎসাবিধান সম্ভাব্য সকল আরোগ্যকলার মধ্যে অন্যতম সফল একটি আরোগ্যকলা। আরোগ্যযোগ্য যে কোন ব্যাধির নির্মূল ও স্থায়ী আরোগ্য একমাত্র সদৃশচিকিৎসাবিধান দিতে পারে। তবে এর রোগ নির্ণয় পদ্ধতি খুবই জটিল এবং দেহ -প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। জীবনীশক্তি যদি রোগটিকে যথাযথভাবে প্রকাশ করতে না পারে সেক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি কোন সাহায্য দিতে পারে না।এইডস ও ক্যান্সার এজন্যেই দুরারোগ্য হয় যে, এসব ব্যাধিতে জীবনীশক্তি এমনভাবে পর্যুদস্ত হয় যে, সুনির্দিষ্টভাবে সদৃশ ঔষধ প্রয়োগ করার মতো নির্ভরযোগ্য কোন লক্ষন প্রকাশ করতে পারে না। তদরূপ জীবনীশক্তি যখন কোন ড্রাগের অধীন হয়ে পড়ে তখন সুনির্দিষ্ট লক্ষন প্রকাশ করতে পারে না। এরূপ ক্ষেত্রে প্রকৃতিই বাঁধা। তাই চিকিৎসকের কিছুই করার থাকে না। কিন্তু আরোগ্যযোগ্য ব্যাধি সমূহে কম-বেশি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষন পাওয়া যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে রোগীর প্রতি চিকিৎসকের সর্বাধিক মনোযোগ দিতে হয়। কোন কোন রোগীতে নিদ্রাকালে লক্ষন প্রকাশ পায়। নিদ্রাকালে পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিদ্রিত অবস্থায় রোগী পর্যবেক্ষণ করতে হয়। অর্থাৎ রোগীকে সর্বঅবস্থায় পর্যবেক্ষণ না করে বলা যাবে না যে রোগীর মধ্যে বৈশিষ্ট্যপূর্র্ণ কোনো লক্ষণ নেই।
পাদটিকা-২, সূত্র-৬ সূত্রের সুন্দর ইংরেজী হচ্ছে The unprejudiced observer-well aware of the futility of trancendental speculation wich can recieved confirmation from experience- ব্যাখাঃ সংস্কার মুক্ত পর্যবেক্ষক বিচ্চ্যুতি সমূহ দেখতে পায়, যা একমাত্র সত্য ও বোধগম্য চিত্র গঠন করে। অবাস্তব কল্পনা অসারতা অর্থাৎ রোগী দেখেই বুঝতে পারেন এই ধরনের প্রচারনা। আমি জানি না যে, রোগশয্যায় রোগলক্ষনের প্রতি সর্বাধিক মনোযোগ না দিয়ে এবং চিকিৎসায় তা দ্বারা পরিচালিত না হয়ে চিকিৎসকের জন্য এরূপ ধারণা করার কোন সুযোগ আছে কি যে, তারা গোপন ও অদৃশ্য অন্ত:স্থলে অনুসন্ধান করবে এবং আবিষ্কার করবে রোগে কি আরোগ্য করতে হবে? তারা উদ্ধত এবং হাস্যকর দাবি করে যে, লক্ষণসমূহের প্রতি গূরুত্ব না দিয়েও অদৃশ্য যে পরিবর্তন সংঘটিত হয় তারা আবিষ্কার করতে পারে এবং (অপরীক্ষিত) ঔষধ দ্বারা তা আরোগ্য করতে পারে। এবং এইরূপ কার্যপ্রণালীকে আবার একমাত্র আসল এবং নকল মুক্তিসিদ্ধ চিকিৎসাও বলা হয়।
তাহলে ব্যাধি লক্ষণসমূহের মাধ্যমে যে চিত্র প্রদর্শন করে, যা ইন্দ্রিওসমূহ দ্বারা জানা যায়, চিকিৎসকের দৃষ্টিতে কি তা-ই স্বয়ং ব্যাধি নয়, সেহেতু তিনি কখনো দেখতে পান না সেই অদৃশ্য সত্তাকে যে রোগ উৎপাদন করে, অর্থাৎ জীবনীশক্তি? এটি দেখা তার দরকার নয়। তবে শূধুমাত্র এর লক্ষণসমূহ (জীবনীশক্তির রুগন্ ক্রিয়াকলাপ ) নিরুপন করতে হবে যাতে তাদের সাহায্যে তিনি ব্যাধিটি আরোগ্য করতে পারেন। তাহলে প্রাচীন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মানবদেহের অন্তস্থলে রোগের প্রধান কারণস্বরূপ কী খুঁজে, যখন তারা আরোগ্যের লক্ষ্যবস্তু পরিত্যাগ করে এবং উদ্ধতভাবে রোগের ইন্দ্রিওগ্রাহ্য এবং প্রকাশিত প্রতিচ্ছবি আবজ্ঞা করে, রোগের লক্ষণসমূহ যা খুব স্পষ্টভাবে আমাদের কাছে আত্মপরিচয় প্রদান করে? এ-গুলো ছাড়া তারা রোগে আর কি আরোগ্য করতে চায়? সব শেষে অর্গানন ভিত্তিক চিকিৎসা প্রদানে যদি কেহ উৎসাহ বোধ করেন তবেই এটি একটি আন্দোলনে পরিণত হতে পারে এবং দীর্ঘ দিনের পরিশ্রম স্বার্থক হবে।

লেখক- ডা. আওলাদ হোসেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!