আইনের চোখ

আইনের চোখ
-মোল্লা মোঃ জমির উদ্দিন (কবি, সাহত্যিক, লেখক ও কলামিস্ট)

মেধার কোন পারছেন্টেস আছে কিনা জানিনা তবে আমার ধারণা এক দুই পরছেন্ট থাকলেও বাকিটা সাধনা এবং এই সাধনাই সমাজে শ্রেণি বিভাগ তৈরি করেছে, ছাত্র জীবনে যারা অত্যন্ত সাধনার মধ্য দিয়ে গেছেন তারাই মেধাবী ছাত্র হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেছেন যারা বেশি ভালো ইঞ্জিনিয়ারিং ডাক্তার এবং আইন বিভাগে পড়ার সুজোগ পেয়েছেন, আসুন তাদের অবদান হিসেব করে দেখি, আসছি ডাক্তার সাহেবের কাছে মানব সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এবং সারা জীবন নিজেকে আপডেট রাখতে পড়াশোনা থেকে অব্যহিত নেবার সুজোগ পান না তারা, তবে এখানেও যে অসাধু নাই তা কিভাবে বলবেন, কারণ পাশের দেশের ডাক্তার সাহেবের পরামর্শে একটা বাড়িতে রোগ সেরে গেলেও আমাদের সাহেবেরা ১০ রকম বড়ি দিয়ে রোগ আরও বাড়িয়ে তোলেন এটা ঔষধ কোম্পানির দায় শোধ করা ছাড়া আর কিছুনা।
আসেন পরীক্ষা নীরিক্ষা দেখি ডাক্তার সাহেব যেখানে ৪০-৫০%পান তাহলে কিভাবে সামলাবে নিজেকে কাজেই বেয়ারা হলে দায় কার, তিনিতো তুলনা করতেই পারেন সচিব মহদয়ের সাথে কারন তিনিতো মোটা অংক নিচ্ছেন না, কেউ সরকারি টাকা মারে উপর তলায় বসে তিনি ব্যাক্তিগত পর্যায়ে, কথা একটাই কেউ নারি টিপে আর কেউ মন্ত্র টিপে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন, টাকাটা জনগণের।

আসেন বিশেষ চিকিৎসক ডাক্তার সাহেবের কথায়, বাচ্চার নুনু কাটাতে যদি বাচ্ছা মেরে ফেলেন তাহলে তাদের কি দরকার, হাজাম প্রথার কি দোষ, আমরাতো ভালোই আছি কোথাও কোন কাজে অসুবিধা নাই, তবে আমাদের দেশে ভালো অনেক ডাক্তার আছেন মেধাবী তারা প্রশংসনীয়ও বটে তবে ডাক্তার সাহেবের ভুলে রোগীর মৃত্যুর কারণ হলেও তাকে আইনের আওতায় আনা জরুরি কারণ আমাদের দেশে প্রকৃত মানবিক চিকিৎসক সংখায় অনেক বেশি দরকার আইন প্রয়োগ করে হলেও তাদেরকে গড়ে তোলা দরকার না হলে দেশের টাকা শ্রতের মতো বিদেশে যেতেই থাকবে, একটু যত্ন করে মানুষের সেবাটা দিলে বছরে হাজারো কোটি টাকা বেচে যেতো।
দেশের বয়স ৫০ পেরিয়ে গেলেও এখানেও উন্নত প্রাতিষ্ঠানিক চরিত্র গড়ে উঠে নাই কারণ হিসেবে অনিয়ম দুর্নীতিই একমাত্র দায়ী মেধাবী চিকিৎসক আছে কিন্তু মানবিক চরিত্র গড়ে উঠে নাই কারণ একজন সচিব যেখানে হাজার কোটি পতি ছাত্র হিসেবে সচিব কিন্তু তৃতীয় নয় চতুর্থ নাম্বারে থাকবে কাজেই লোকের পকেট কেটে হলেও হাজার কোটিপতি হবার প্রতিযোগিতা বাস্তবতা। চিকিৎসক ভুল করলে আইনের আওতায় আনা হয় কিন্তু সচিব চুরি করলেও আইনের আওতায় আসে, শোনা যায় না কারণ আইনকেও তারা প্রভাবিত করতে পারে। ছাত্র হিসেবে এক নম্বরে অবস্থান ইঞ্জিনিয়ার সাহেবদের, তাদের ভুলেও প্রাণহাণী হয় তবে সেটা অনেক বড় বা হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি হতে পারে তাদের ভুলে ইমারত ধষে বা ভবন ভেঙে বা ব্রিজ ধ্বংসের কারণে, এরাও দুর্নীতিতে কম যায় না এবং তাদের কিছু বৈদ দুর্নীতির ব্যবস্থাতো র‍য়েছেই।
আসছি মেধাবী অংগ রাষ্ট্রের আইন অংগন সেখানেও বড় বড় কালপ্রিট আইনের ফাঁক গলিয়ে বেড়িয়ে যায় আবার” জাহালমের” মত শ্রমিকরা সাজা পায় লেটেস্ট দেখলাম হেরোইন ব্যাবসায়ীদের নিয়ম ভেঙে জামিনে মুক্তি দেয়া বিচারক বা এই প্রক্রিয়ার সাথে যারা জড়িত তাদেরও ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুলের শাস্তির ব্যবস্থা থাকা উচিত। রাস্ট্র ব্যবস্হার ভেতরে যদি প্রধান প্রধান অঙ্গ পরিচালনায় সুশাসনের অভাব থাকে অনিয়ম দুর্নীতি অব্যাহত থাকে ব্যবসা যারা করেন ভেজাল মিশিয়ে খাওয়াবে এটা খুব স্বাভাবিক কারণ সেতো নীতি শিখে নাই,  শিখেছে মুনাফা তাতে যদি জাতী ধ্বংস হয়ে যায় তার কিচ্ছু আসে যায় না এমনকি সেও যদি মরে যায় যাবে মুনাফা তার চাইই চাই।
সবাই শুধু চাই আরও চাই গতবছর রাজশাহীর এক লিচু চাষি বাগানে বিষ প্রয়োগ করার একটু পরই তার নিজের সন্তান ঐ লিচু খেয়ে মারা গেল তাই বলে কি নিয়মের বদল হয়েছে না হয় নাই যদি তাই হত খামারিদের মুরগী ধ্বংস হয়ে ছোট ছোট খামারি পথে বসে গেছে দেখেন গিয়ে মতিঝিল জনতা ব্যাংকের কোনায় ভুঁয়াপুরের সিগারেটের দোকানীকে দেখেন গত বছরও মাসে ১৫০০০০ /টাকা আয় ছিলো লেয়ার মুরগির খামার ছিল। সেখানেও খাবারে বিষ ছিল খামার ধংসের সরজন্ত্রের ফলই আমরা ভোগ করছি।
জাতির প্রায় ৪ কোটি লোক কিডনি রোগী
এদের বাঁচার উপায় কোথায়। আসছি আসল জায়গায় আইনকে গতিশীল সচ্ছ এবং আরও কঠিন বাস্তবতায় নেবার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে এটা কার স্বার্থে দেশের জনগণের নাকি যারা উপরে আছেন তাদের স্বার্থে আসেন দেখি জরিপ চালিয়ে দেখতে পারেন যারা আইন বিষয়ে পি এইচ ডি করবেন বা উচ্চতর গবেষণা করতে চান তাদের বলছি এমন এলাকা কি নাই যেখানে দশ গ্রামে একজন আইনজীবি অনপস্থিত যে কারণে প্রশাসনের লোক নৈরাজ্য চালিয়ে মজা পায়, তুচ্ছ কারন বা দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে সাধারণ লোকের হাতে রশি পড়ায়, গ্রামে আইনজীবি থাকলে এত সহজে এটা পারবে বলে আমার অন্তত মনে হয়না, একদিকে উন্নত সেবার ঢোল পেটাবেন অন্যদিকে আইন পেশায় প্রবেশের পথ কঠিন করে দেবেন এটা আইনের চোখে তির্যক আলো ফুটানোর পরিবর্তে শক্ত করে চোখ বেধে দেয়ার সামিল কিনা ভেবে দেখবেন। ২০ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটছে কিনা নাকি সিন্ডিকেটের কঠিন বাস্তবতা সচেতন মহলের চিন্তা করবার সুজোগ আছেকিনা ভাববেন।
প্রিয় পাঠক বাস্তবতা দিন দিন কঠিন হোক আমার কোন আপত্তি নাই মানুষের সেবা সঠিক পথে এগিয়ে নেবার চেস্টা শুধু প্রধানমন্ত্রী করেন জনমনে এমন ভাবনা আলোচনা সমাজে আছে,দু:খ জনক দেশের নানা জায়গায় আগুন জলছে এটা হয়ত শান্ত হয়ে যাবে সাদা চোখে দেখা যাচ্ছে কিন্তু সাধারণ মানুষের ভেতরের আগুন আইনের চোখে দেখবার আহবান রেখে সমাপ্তি টানলাম সবাই ভালো থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!