ভারতে সালাউদ্দিনের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ শিলংয়ে অনুপ্রবেশের মামলায় ছয় মাস আগে সেখানকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন। শিলং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দেওয়া সেই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৭ এপ্রিল আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয় থেকে তাঁর বাংলাদেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অনুপ্রবেশের মামলা থেকে সালাউদ্দিন আহমদকে বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছিলেন আদালত। মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় আদালত তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।

রায়ের পরপর তাঁর আইনজীবী এস পি মোহান্ত এই প্রতিবেদককে বলেছিলেন, ‘আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে সালাউদ্দিন আহমেদ নির্দোষ। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। কাজেই তাঁকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে কোনো বাধা নেই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেখানকার এক আইনজীবী তখন এই প্রতিবেদককে জানান, এ ধরনের রায়ের ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের পুশব্যাকের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু মামলার আসামি বিশিষ্টজন হলে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রত্যর্পণের রীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে।

গত বছরের মামলার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সর্বশেষ আপিল সম্পর্কে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন আহমদ জানান, ‘নিম্ন আদালতের রায়ে খালাস পাওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরতে ছাড়পত্রের জন্য শিলংয়ে অপেক্ষায় ছিলাম। গত ২৭ এপ্রিল ডাকযোগে আপিল আদালতের নোটিশ পেয়ে বুধবার আদালতে হাজির হয়েছি। তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিয়ে শুনানির নতুন তারিখ এখনো পাইনি।’

প্রসঙ্গত বিনা পাসপোর্টে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট-১৯৪৬ অনুযায়ী ২০১৫ সালের জুলাইতে সালাউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে মেঘালয় পুলিশ মামলা করেছিল। ওই অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

২০১৫ সালের মার্চের শুরুতে ঢাকার উত্তরা থেকে ‘অপহৃত হন’ সালাউদ্দিন। এর প্রায় আড়াই মাস পর ১১ মে ভোরে শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকায় উদ্‌ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরির সময় লোকজনের ফোন পেয়ে পুলিশ তাঁকে আটক করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!