স্কুলছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করলো কোচিং সেন্টারের পরিচালক

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়ায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই উপজেলারই এক কোচিং সেন্টারের পরিচালকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর মা।

দীর্ঘ এক সপ্তাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) হাসপাতালে ওসিসিতে চিকিৎসা নেয়ার পর গত শুক্রবার বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী।

ঘটনার পর থেকে কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে গেছেন পরিচালক সাইফুল ইসলাম।

ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাবার অভিযোগ, এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে যেকোনো মুহূর্তে এলাকা ছাড়া করারও হুমকি দিচ্ছে মহলটি।

তিনি আরো বলেন, ধর্ষক সাইফুল ইসলাম যেকোনো মুহূর্তে দেশের বাইরে চলে যেতে পারে। এজন্য ভিসাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে বলে জানতে পেরেছি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল বলেন, ঘটনার জানাজানি হওয়ার পর থেকেই কোচিং সেন্টার বন্ধ করে আসামি আত্মগোপনে চলে গেছে। তবে পুলিশ তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিকাশ রুদ্র বলেন, আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। সে যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য আমরা বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরসমূহে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছি। আশা করি ধর্ষক দ্রুত গ্রেফতার হবে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ আব্দুস সোবহানের ছেলে সাইফুল ইসলাম কিছুদিন আগে উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় সৃজনশীল নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করে। এলাকার ছেলে সাইফুলের অনুরোধে উত্তর আমিরাবাদের একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে সাইফুলের সাথে ওই ছাত্রীর পরিবারের যোগসূত্র গড়ে ওঠে।

গত ১২ এপ্রিল ওই স্কুলছাত্রীর মায়ের অনুপস্থিতে তার বাসায় যায় কোচিং সেন্টারের পরিচালক সাইফুল। বাসায় তাকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। সে সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষক সাইফুল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঘটনা শোনার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শে সেদিনই তাকে চমেক হাসাপাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।

ঘটনার তিনদিনের মাথায় গত ১৫ এপ্রিল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) প্রতিবেদন পেয়ে লোহাগাড়া থানা পুলিশ মামলা নেয়। মামলাটি দায়ের করেন ওই স্কুল ছাত্রীর মা। দীর্ঘ এক সপ্তাহ চমেক হাসপাতালে ওসিসিতে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১৯ এপ্রিল বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী। সূত্র-পরিবরতনডটকম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!