বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভূপেন্দ্র নাথ রায়, দিনাজপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
স্বাধীনতার পরাশক্তি ১৯৭৫ সালের কালো রাত্রিতে বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর দু’জন কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও তার ছোট বোন বিদেশে থাকায় জীবনে রক্ষা পায়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে ফিরে আসেন। এরপর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রীকে সব বাধা অতিক্রম করে ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসে। ১৯৯৬ হতে ২০০১ এটা ছিল স্বর্ণযুগ বাংলাদেশের জন্য সমসাময়িক ইতিহাসের। যা কিছু নতুন দেখছি আজকের যে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণ করছি এগুলো সেসময় শেখ হাসিনা চালু করেন। মুক্তিযোদ্ধাদেরও ভাতা চালু করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ভুলে গিয়েছিল মানুষ। তারা কে, তারা কি করেছিল জাতি তা ভুলে গিয়েছিল? প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে পূর্নবাসিত করে এবং অনেক মুক্তিযোদ্ধা এরকম ছিল খবরের কাগজে ও টেলিভিশনে ছবি বেড়িয়েছিল তারা রিক্সা চালায়, কারো একটা পা নেই, যুদ্ধে তা হারিয়েছেন। কিন্তু তিনি তার সংসারের জন্য রিক্সা চালাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধারা ভিক্ষাও করেছিলেন। সেখান থেকে শেখ হাসিনা তাদেরকে তুলে আনেন। তাদেরকে পুর্নবাসিত করেন। তাদেরকে আবার জাতির সামনে শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেন। এখন তারা সমাজের কাছে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছেন। এসব কিছুকে চালু করতে হবে। বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। একটা রোল মডেলে হিসেবে পরিণত হয়েছে। সারাবিশ্ব এখন বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতে অনুসরণের করে।
গতকাল মঙ্গলবার খানসামা উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ১০০ জন গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিং ফ্যান বিতরণ, নতুন করে মনোনীত ৩৯৭ জন বয়স্ক ভাতা, ১৬৬ জন বিধবা ভাতা ও ৮৩ জন প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভাবকি ইউনিয়ন পরিষদকে এম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমপি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এই কাজটা দ্রুত সম্ভব হয়েছে বলেই আবারো ২০০৯ সালে বাংলাদেশের জনগণ বিপুল ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। দুই তৃতীয়াংশ ভোট এবং তিন চতুর্থাংশ আসন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এবার আবারো বিজয় দিবসের পর ডিসেম্বরের শেষ দিকে আবার নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে আবারো নৌকা মার্কার বিজয় আশা করছি। যাতে করে শেখ হাসিনা আবার নেতৃত্ব দিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী বয়সে আমার চেয়ে ছোট হয়েও যে কাজ করছেন তা অসাধ্যকে সাধন করছেন। এটা কারো পক্ষে সম্ভব না। তিনি ষোল হতে আঠার ঘন্টা পরিশ্রম করে দিনে। এটা বঙ্গবন্ধু কণ্যা না হলে সম্ভব হত না। এরজন্য আমি বলব আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে আমরা বঙ্গবন্ধু কণ্যাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছি। এসব উন্নয়নের কথা সব জায়গায় বলবেন, নিজেও নৌকায় ভোট দিবেন অন্যজনকে ভোট দিতে উদ্ধৃত করবেন। ভোট সকলকে দিতে হবে। বাড়িতে কাউকে থাকলে চলবে না। এবার। এটাই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা। আমরা আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চাই।
খানসামা উপজেলার উন্নয়ন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ব্রীজ, ক্ষুদ্রসেতু, রাস্তা ঘাট সব হয়ে যাচ্ছে স্কুল কলেজ ভবন এগুলো অনেক হয়েছে। খানসামার চেহারাটা তো দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে। শুধু খানসামায় নয় সারাদেশেরই চেহারা পাল্টে যাচ্ছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সহিদুজ্জামান শাহ্ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সহধর্মিনী মিসেস শাহীন আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ মো: আব্দুল জব্বার, সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন এবং ৬ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সংসঠনের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে প্রাণী সম্পদ বিভাগের আয়োজনে বন্যায় কবলিত ১৬০ পরিবারের মধ্যে ৩ বস্তা করে গোখাদ্য ও কৃমির ঔষধ বিতরণ, বন্যা কবলিত জনসাধারনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য ৫ লক্ষ ৬০ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ ও ৬ ইউনিয়ন পরিষদকে একটি করে নৌকা প্রদান, ৯ কোটি ৩২ টাকা ব্যয়ে উপজেলার ১৪ কিলোমিটার বিভিন্ন কাঁচা রাস্তা পাকাকরণে ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন।