অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলা

অনলাইন ডেস্ক  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদের জেরে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোখলেসুর রহমান মুহিদ নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে মাথা ফাঁটিয়ে দেয়া হয়েছে। আহত মুহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের মাস্টার্স এর শিক্ষার্থী। বর্তমানে সে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার মাথায় ৬টি সেলাঁই দেয়া হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বাজারের কয়েকটি দোকান ভাংচুর করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোরবার (০১অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান্নান হলের বর্ধিত অংশের সামনে একটি ছেলে ও একটি মেয়েকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় মুহিদ। এসময় মুহিদ তাদেরকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য বললে মুহিদের সাথে ছেলেটির বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাতা-হাতিও হয়। মুহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ছেলেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইল এম. এম. আলী সরকারী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও মেয়েটি টাঙ্গাইল গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে। পরে গতকাল সোমবার সকালে মুহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গেলে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা শাহিন নামের এক যুবক তাকে পেছন থেকে চেইন দিয়ে আঘাত করে। এতে মুহিদের মাথা ফেটে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে উত্তেজিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের বাজারের কয়েকটি দোকান ভাংচুর করেছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ঘটনার সাথে জড়িতদের শিঘ্রই আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবী জানান। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদারসহ বহিরাগতদের চলাচল সীমিত করারও দাবী জানান।

তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও টাঙ্গাইল পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই কয়েকজন শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাজারের দোকান ভাংচুর করে। ফলে বিষয়টি এখন নতুন করে ভিন্ন দিকে মোড় নিল। এ ভাংচুরের ঘটনায় কারো ইন্দন আছে কিনা বা স্বার্থ আছে কিনা খতিয়ে দেখা দরকার। কারন দু’তিনটি দোকানে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!