ঐক্যফ্রন্টকে সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : কাদের

অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে প্রধানমন্ত্রী অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। সরকার হস্তক্ষেপ করবে না।

বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) রাতে গণভবনে জাতীয় ঐক্যফন্টের সাথে সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে কাদের বলেন, কিছু কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, কিছু কিছু বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকেও ভদ্রতার সঙ্গে শালীনতার সঙ্গে জবাব দেয়া হয়েছে।

আলোচনা অব্যাহত থাকবে। এখানে কিছু কিছু বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিস্কারভাবে বলে দিয়েছেন, সভা সমাবেশ তথা মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে।

কাদের বলেন, সভা সমাবেশে বাধা না দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে ঐক্যফ্রন্টকে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রয়োজনে একটি কর্ণার করে দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজনৈতিক মামলার বিষয়ে সংলাপে ড. কামাল হোসেন এবং মির্জা ফখরুলের কাছ থেকে তালিকা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আশ্বাস দিয়েছেন সেই তালিকা দেখে যেটা রাজনৈতিক মামলা মনে হবে, সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টিও নাচক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. কামাল হোসেনকে আমাদের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আপনিই বলুন, আপনিও তো ইলেকশন করেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে বহু নির্বাচনই হয়েছে এই দেশে। এসব নির্বাচনের মধ্যে কেবল মাত্র ২০০১ সালেই একবার সেনাবাহিনীকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এছাড়া কোনো নির্বাচনে বাংলাদেশে সেনাবহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ছিল না। কাজেই এখন কেন চান?

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি নিয়ে আশ্বাস মেলেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা আইনের ব্যাপার, আদালতের বিষয়। আইন আদালতের বিষয়ের সঙ্গে সংলাপে কোনো বিষয় সংলাপের মধ্যে আসতে পারে না। কাদের বলেন, যে দুটি মামলায় তার দন্ড হয়েছে, এটা কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলা। আমাদের নেত্রী এটাই বলেছেন, এটা আমি ফাইল করিনি। এটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলা। সে সরকারের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা বিএনপির লোক।

আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা ছিল। সেগুলো তদন্ত করে রিপোর্ট হয়েছে, কোনো মামলা প্রত্যাহার হয়নি।

নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার দাবিও মানেননি প্রধানমন্ত্রী। কাদের জানান, সরকার প্রধান বলেছেন, ইভিএম আধুনিক পদ্ধতি, সাপোর্ট করি। তবে এবার ইভিএম হয়ত নির্বাচন কমিশন সীমিতভাবে ব্যবহার করবে। এতে আমাদের সমর্থন থাকবে।

তবে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভোট পর্যবেক্ষণে সকারের কোনো আপত্তি থাকবে না বলে জানান কাদের।

এই আলোচনায় ঐক্যফ্রন্ট সন্তুষ্ট কি না ? জানতে চাইলে কাদের বলেন, তারা খুশি কি অখুশি এটা তারা বলবে। হাউ ক্যান আই সে ?

ড. কামাল হোসেন প্রাইম মিনিস্টারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, আপনি যে সব বক্তব্যগুলো দিয়েছেন, তার অনেক কিছু আমি জানতাম না।

‘ছোট পরিসরে বসার ব্যাপারে আমাদের নেত্রী বলেছেন, আমার দ্বার উন্মুক্ত। আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত আরও কয়েকটি সংলাপ আছে। তারা এলেই হবে। তারা যদি মনে করেন আসা দরকার। আমাদের ইনফরমেশন দিলেই চলবে।

বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না- জানতে চাইলে কাদের বলেন, সে কথা তাদেরই জিজ্ঞেস করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!