যে নতুন পদ্ধতিতে ‘গর্ভবতী’ হচ্ছেন মহিলারা

 

অনলাইন ডেস্ক  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

ছবিতে অনেক সময় অভিনেত্রীরা নকল পেট লাগিয়ে গর্ভবতী সেজে থাকেন। আর এখন বাস্তবেও নাকি ভারতের বহু ঘরে এমন নকল পেটের চাহিদা তুঙ্গে। সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান লাভ করছেন যে দম্পতি, সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই স্ত্রী নকল পেটের সাহায্যে নিজেকে গর্ভবতী বলে পরিচয় দিচ্ছেন।

চিরকালের জন্য সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারানো রানি ছবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকের সামনে পেটে বালিশ বেঁধে ঘুরতেন। এখন অবশ্য বালিশ বাঁধার দরকার হচ্ছে না। ‘সিলিকন প্রেগন্যান্সি বেলি’ বা সিলিকনের পেট শরীরে বেঁধে নেওয়া যাচ্ছে। এক থেকে আট মাস পর্যন্ত গর্ভাবস্থার বিভিন্ন মাপের সিলিকন-পেট বাজারে মেলে। হাত দিলেও আসল-নকল বোঝার সাধ্য নেই।

কিন্তু এই লুকোচুরির দরকার হচ্ছে কেন? শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার দরুণ যারা নিজের গর্ভে সন্তান ধারণ করতে পারেন না, সারোগেসি বা গর্ভদাত্রী মায়ের মাধ্যমে সন্তান পাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাদের অনেককে এই নকল পেট বা লাগাতে হচ্ছে সামাজিক আতঙ্কে আর পারিবারিক গোঁড়ামিকে পাশ কাটাতে।

পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় প্রস্থেটিস্ট সুমিত্রা অগ্রবাল জানাচ্ছেন, যখন থেকে সারোগেট বা গর্ভদাত্রী মা সন্তান ধারণ শুরু করেন সেই সময় থেকে প্রকৃত মা সিলিকনের পেট নিজের শরীরে লাগিয়ে নেন।

শুধু ২০১৬ সালেই সুমিত্রা দেশে-বিদেশে এমন ৫৫ জনকে নকল পেট সরবরাহ করেছেন। দাম ১২ হাজার টাকা থেকে শুরু। তাঁর খদ্দেরদের মধ্যে অবাঙালি বেশি, তবে বাঙালিও আছেন। অধিকাংশই ব্যবসায়ী পরিবারের। আছেন ডাক্তার, শিক্ষক, আমলা, ব্যাঙ্ককর্মীও।

ভারতের বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ রোহিত ঘুটঘুটিয়ার কথায়, সমাজ পি‌ছিয়ে, তাই আড়াল খোঁজা। আর এক বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রাণী লোধও মানলেন, সমাজের মানসিকতা কিছুতেই পাল্টানো যাচ্ছে না। -আনন্দবাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!