ঘাটাইলে করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মাঠ ভাড়া দিয়েছে কতৃপক্ষ

মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ, ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে চান্দসী গ্রামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ভাড়া দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যালয়ের মাঠ ও কক্ষ ভাড়া নিয়ে বিদ্যুতের সরঞ্জাম গুদামজাত করেছে।

এ নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারকে বিদ্যালয়ের জায়গার জন্য ভাড়া দিতে হয়। করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কোনো আয় নাই। তাই ভাড়ার টাকা জোগাতে বিদ্যালয়ের মাঠ ও কক্ষ ভাড়া দিতে হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারের কাছ থেকে ২৪ শতাংশ খাস জমি লিজ নিয়ে ২০০৩ সালে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।

উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের দৃষ্টিহীন রফিকুল বারী খান বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি এই বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে পালন করছেন। করোনা সংক্রমণের আগে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৪ জন এবং শিক্ষক ৪ জন।
বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান রফিকুল বারী খান বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো টাকা আসছে না।

শিক্ষকদের বেতনভাতা ছাড়াও সরকারকে জমির লিজের টাকাসহ বছরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়। তাই প্রতিষ্ঠানটি বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে বাধ্য হয়ে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে গত জুন মাসে মাসিক ৯ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষসহ প্রাচীর বেষ্টিত মাঠে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার, তারের কয়েল, লম্বা বাঁশসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রাখা আছে। কথা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি আলম মিয়ার সঙ্গে।

আলম মিয়া বলেন, সেন্ট্রাল প্রকল্প (জোন-২) ময়মনসিংহের আওতায় ঘাটাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের লাইন উন্নয়নের কাজ চলছে। প্রকল্পের কাজের যাবতীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রাখার জন্য তারা এই বিদ্যালয় ভবন ভাড়া নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘাটাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া লিজকৃত জমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যায় না। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় যদি লিজের শর্ত ভঙ্গ করে থাকে তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!