টস থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছুই অনুসরণ করল আগের ম্যাচের চিত্রনাট্য। আগে বোলিং নিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুরুটা হল দারুণ। চল্লিশ পেরোতে না পেরোতেই নিউজিল্যান্ডের ৩ উইকেট ডাউন। চতুর্থ উইকেটে কিন্তু শতরানের জুটি। সে দিন তাণ্ডব চালিয়েছিলেন কলিন মানরো। এ দিন অ্যান্ডারসন। মানরোর মত অবশ্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি অ্যান্ডারসন। তবে ব্যাটিং ছিল মানরোর চেয়েও ভাল। বলা ভাল, সেঞ্চুরির সময়টা পাননি অ্যান্ডারসন। নেমেছিলেন পাঁচ নম্বরে, রেকর্ড ১০ ছক্কায় অপরাজিত ৪১ বলে ৯৪ রান।  নিউজিল্যান্ডের আগের রেকর্ড ছিল ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ৮ ছক্কা। আগের ম্যাচে মানরোকে সঙ্গ দিয়েছিলেন টম ব্রুস। অ্যান্ডারসন পাশে পেলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে। দারুণ টাইমিং আর পেশীশক্তির প্রদর্শনীতে অ্যান্ডারসন খেলেছেন দারুণ সব শট। বল উড়েছে মাঠের নানা প্রান্তে। ২৭ বলে ছুঁয়েছিলেন পঞ্চাশ, ঝড়ের তীব্রতা পরে বেড়েছে আরও। সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন মাশরাফিকে। বাংলাদেশ অধিনায়কের ৯ বলে নিয়েছেন ২৯। ৫৭ বলে ৬০ করেছেন উইলিয়ামসন। প্রথম ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ৫৫। শেষ ১০ ওভারে আসে ১৩৯ রান!

বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল উল্টো গতি। শুরুটা ছিল দারুণ। ১৫ বলে ২৪ করে তামিম ফিরে যান। তবে সৌম্য সরকারের ব্যাটে ঠিক পথেই ছিল দল। ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া ইমরুল কায়েসের জায়গায় ইনিংস শুরু করেন সৌম্য। আগের ম্যাচের মতোই এ দিন তাঁর ব্যাটে ছিল পুরোনো ছন্দ। ৮ ওভারে দলের রান ওঠে ৮০। কিন্তু ইশ সোধিকে উড়িযে মারতে গিয়ে সৌম্যর বিদায়েই পথ হারানোর শুরু। বাজে শটে ফেরেন সাব্বির। সাকিব উইকেটে থেকেও পারেননি ঝড় তুলতে। নামের পাশে ৪১ রান বলবে খারাপ খেলেননি। তবে ৩৪ বল খেলায় পরিস্থিতি দাবি করছিল দেড়শ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস, ১২০ নয়। রান-বলের টানাপোড়েন মেলাতে পারেননি অন্য কেউ। শেষ পর্যন্ত ইনিংস শেষের বেশ আগেই পরিষ্কার হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য।
পরাজয়ের ব্যবধানটা শুধু একটু কমল। তবে আগের ম্যাচের সঙ্গে হারের ধরনটা একই। আগের ম্যাচে ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড, এ দিন ৪১ রানে। চতুর্থ উইকেটে সে দিনের জুটি ছিল ১২৩ রানের, এ বার ১২৪। নিউজিল্যান্ডের রানও প্রায় একই। সে দিন ১৯৫ রানের পর এ দিন ৪ উইকেটে ১৯৪। এ দিনও ম্যাচের নির্ধারিত ওভারের বেশ আগেই শেষ উত্তেজনা। ১৯৫ রান তাড়া করে বাংলাদেশ যেতে পারে ১৬৭ পর্যন্ত। নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে এই নিয়ে টানা ৬ ম্যাচ হারল বাংলাদেশ।