নওগাঁয় তীব্র শীত, ক্রেতারা ভীড় করছেন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে।

ভূপাল চন্দ্র রায়, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি | কাগজ টুয়েন্টিফোরবিডি ডটকম

নওগাঁয় সন্ধ্যা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশা আর উত্তরে হীমালয় পর্বতের হিমেল হাওয়া হালকা বাতাসে নওগাঁয় বাড়ছে শীতের তীব্রতা।

শীতের তীব্রতার কারণে এখন সব শ্রেণীর মানুষরা ভীড় করছেন বিভিন্ন ফুটপাতের পুরাতন গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে।
ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেট গুলোতেও গরম কাপড়ের চাহিদা এখন তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বেশি ভীড় দেখা যায় ফুটপাতের পুরানো শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন নওগাঁর এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম্ন আয়ের মানুষরা ভীড় করছেন ফুটপাতের এসব দোকানে। আর এ পুরনো গরম কাপড়ের দোকান বসছে নওগাঁর শহরের বালুডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায়, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড থেকে শুরু করে তাজের মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়কের দুই ধারে, চুড়ি পট্টি ও তরকারি বাজার সড়কে। কম দামের কারণে পুরাতন কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের আগ্রহ অনেক বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

এসব ফুটপাতের দোকানে ছেলে মেয়েদের জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি, ব্লেজার, লেদার জ্যাকেট, সোয়েটার, হাফ সোয়েটার, মুজা, ছোট বড় বাচ্চাদের শীতের টুপিসহ সবকিছু রয়েছে।

এসব ফুটপাতের প্রতিটি দোকানেই এখন শীতের পোশাকে ঠাসা। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দরের মধ্যে শীতবস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে এই দোকানগুলোতে।

পাশে মার্কেট থাকলেও দামে কিছুটা সস্তা হওয়ায় প্রতিদিন ধনী-গরিবসহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার নারী-পুরুষরা ভিড় করছেন দোকানগুলোতে।

নিম্ন আয়ের ক্রেতা মোঃ মোজাম্মেল জানান, আমরা দিন আনি দিন খাই এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি।
আমাদের মতো গরিব মানুষ শীতে গরম কাপড় কিনতে পারে না। তাই ছেলেমেয়েদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করতে হয়। ফলে অনেকটা সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই ফুটপাতের দোকান থেকে বাচ্চাদের জন্য কিছু গরম কাপড় ক্রয় করছি।

পুরাতন কাপড় বিক্রেতা মোঃএমদাদুল হক জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে এ বছর কয়েক লট মাল আনা হয়েছে। ভালো বিক্রিও হচ্ছে। ক্রেতারা প্রচুর আসছেন আমাদের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে। কোনো কোনো লটে অনেক ভালো কাপড় থাকে। সেই ভালো কাপড় খুঁজে নিতে ক্রেতাদের থাকে বাড়তি আগ্রহ বলেও জানান এ বিক্রেতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!