মডার্নার করোনা টিকার নেপথ্যে হ্যামিল্টন বেনেট

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

মডার্নার করোনা টিকা নিয়ে সাফল্যের নেপথ্যে উঠে আসছে ৩৫ বছরের এক এগ্‌জিকিউটিভের নাম। টিকা দ্রুত তৈরি করা এবং তা তড়িঘড়ি বাজারে আনার জন্যই চেষ্টা করেছেন ওই এগ্‌জিকিউটিভ হ্যামিল্টন বেনেট ও তাঁর টিম। হ্যামিল্টনের তৎপরতার জন্য মূলত ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকার পর মডার্নার টিকাও ছাড়পত্র পেয়েছে আমেরিকায়।

ম্যাসাচুসেটসের কেমব্রিজে ছোট্ট সংস্থা মডার্না। করোনা অতিমারির শুরু থেকেই সংস্থাটি টিকা তৈরির গবেষণা করছে। সংস্থা সূত্রে খবর, হ্যামিল্টনের তৎপরতার জন্যই টিকা তৈরি থেকে বণ্টনের প্রক্রিয়া গতি পেয়েছে। এই সব দিক খতিয়ে দেখেই এই সংস্থাকে ছাড়পত্র দিয়েছে আমেরিকার নিয়ামক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

১০ বছরেরও বেশি এই ইন্ডাস্ট্রিতে গবেষণায় অভিজ্ঞতা রয়েছে হ্যামিল্টনের। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনভাইরনমেন্টাল হেল্থ এবং মাইক্রো বায়োলজিতে গ্র্যাজুয়েট। এর পর লন্ডনের স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন থেকে এপিডেমিওলজিতে ফের গ্র্যাজুয়েট এবং তারও পর ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএস। গত চার বছর ধরে তিনি মডার্নার টিকা বিভাগের দায়িত্বে।

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মডার্না এই টিকা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। এবিসি নিউজকে হ্যামিল্টন বলেন, ‘‘আমাদের এই টিকা অন্যদের সঙ্গে ফারাকটা তৈরি করবে। অতিমারির সমস্যা আমরা অভিনব ভাবে মোকাবিলা করতে চলেছি। আমরা না পারলে সম্ভবত অন্য কেউ তা পারবে না। জানুয়ারিতে প্রথম করোনার পূর্ণাঙ্গ জিনোম পাওয়া যেতেই আমরা গবেষণা শুরু করি।’’ সঙ্গে সংযোজন, ‘‘প্রতিদিনই আমরা গতি বাড়িয়েছি। এই প্রকল্পের সঙ্গে এতটাই জড়িয়ে আছি যে, সকালে ৭টার মধ্যে অফিস আসি। রাতে বের হই সাড়ে ১০টার পর। পরের দিন আবার সকাল ৭টার মধ্যে অফিস। প্রতিদিনই চেষ্টা করি নিজেদের ডেড লাইন ঠিক রাখতে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!