মিয়ানমারের সেনারা কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হচ্ছেন

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণকবর উদ্ঘাটনের ঘটনায় মিয়ানমারের সেনাসদস্যরা কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।

দেশটির সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে শনিবার বলা হয়েছে, তদন্তে দেখা গেছে- রাখাইনের গুদার পিয়ান গ্রামে নির্দেশনা অনুসরণের দুর্বলতা ছিল সেনাসদস্যদের। খবর এপির।

সামরিক বিচারব্যবস্থার অধীনে এসব সেনাসদস্যকে কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি করা হবে। তবে কতজন সেনাসদস্য বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন বা কবে এই কোর্ট মার্শাল অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তাচৌকিতে ২০১৭ সালের আগস্টে হামলার পর পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাড়ে সাত লাখের বেশি মানুষ।

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাখাইনের গুদার পিয়ান গ্রামে অন্তত পাঁচটি গণকবরের সন্ধান দেয়।

বার্তা সংস্থাটি জানায়, সেনাসদস্য ও বৌদ্ধ গ্রামবাসীরা বন্দুক, ছুরি, রকেট লাঞ্চার ও গ্রেনেড নিয়ে ওই গ্রামে হামলা চালায়।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, এই ঘটনায় শত শত মুসলিম সংখ্যালঘুকে হত্যা করা হয়। পরে মৃতদেহগুলো গণকবরে সমাহিত করা হয়।

তবে মিয়ানমার সরকার হামলার খবর অস্বীকার করে জানায়, গণকবরে পাওয়া মৃতদেহগুলো সন্ত্রাসীদের। ওই সময়ে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, প্রায় ৫০০ গ্রামবাসী তাদের ওপর হামলা চালালে আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাং-এর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম রাখাইনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সামরিক আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!