ঘরোয়া উপায়ে সারিয়ে তুলুন ধমনীর ব্লক

 

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃদপিণ্ড। খাদ্যাভাস বা জীবনাচারণে দীর্ঘদিন অনিয়ম গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালনে বাধা দেয়। তার একটি উদাহরণ হতে পারে হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘করোনারি আর্টারি ডিজিজ’ বলে। আমাদের আশেপাশের অনেকের কাছে এই সমস্যার কথা শোনা যায়।

রোগটি মূলত অতিরিক্ত কোলেস্টেরল এবং ফ্যাটি প্লাকের কারণে হয়ে থাকে। হৃদপিণ্ডের রক্ত প্রবাহী ধমনী সরু হয়ে যাওয়া বা ব্লক হয়ে গেলে পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা শুরু হয়। মস্তিষ্কে রক্তের সঙ্গে অক্সিজেন প্রবাহ কমে আসে। এসব কারণে হার্ট অ্যাটাক হয় যা রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে অবহেলা করা উচিত নয়।

হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক থাকার লক্ষণ

হৃদপিণ্ডে বেশি পরিমাণে ব্লক থাকলে বুকে ব্যথা হয়। বুকের ব্যথা বাম হাতে ছড়িয়ে পড়ে। হাঁটার সময়, সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় বুকে ব্যথা হয়, থামলে ব্যথা কমে যায়। দম নিতে ও ছাড়তে কষ্ট হয়। বুকে জ্বালাপোড়া ও ধড়ফড় করে। গলা, কপাল ও মাথা ঘামে। নিচের দিকে হেলে কিছু করতে গেলে এবং একটু ভারী কিছু বহনের সময় কষ্ট হয়। খাবার হজম না হওয়ার মতো অস্বস্তি লাগে।

 এ রোগ শুধু ওষুধ খেয়ে বা অপারেশন করে ভালো হয় না, পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাই দেখে নেয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লকের সমস্যা দূর করা যায়..

একটি পাত্রে এক কাপ লেবুর রস, এক কাপ আদার রস, এক কাপ রসুনের রস, এক কাপ আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার মাঝারি আঁচে আধা ঘণ্টা ফুটাতে হবে। মিশ্রণটি চার কাপ থেকে তিন কাপে পরিণত হলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিদিন সকালে খাবারের আগে এক চামচ করে খেতে থাকুন। এভাবে নিয়মিত খেলে হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক থেকে অনেকটাই প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!