হিন্দু পারিবারিক আইন ও হিন্দু মৌলবাদ

হিন্দু পারিবারিক আইন ও হিন্দু মৌলবাদ
রণেশ মৈত্র (একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক)
সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ

জানি না সরকার কেন এই ইস্যুটাকে এতকাল ধরে জীইয়ে রেখেছেন। হিন্দু ও মুসলিম পারিবারিক আইনি নিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতৃত্বে ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার আয়োজিত অসংখ্য সভা, সমাবেশ, মিছিল, মানবন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান করে এই আইনগুলির প্রগতিমুকীন এবং নারী অধিকারের স্বীকৃতি দাবী করে দীর্ঘকাল ধরে একদিকে আন্দোলনের মাধ্যমে অপর দিকে লেখালেখি ও প্রতিনিধি দল মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে আসেছেন। সরকারও দাবীগুলি পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অপরাপর কারণে মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মীয়, বর্নগত এবং লৈঙ্গিক ভিন্নতার কারণে কোন প্রকার বৈষম্যমূলক আইন প্রণয়ন ও সংরক্ষণ করতে অধিকারী নন। এসব জেনে শুনেও বিলম্ব ঘটছে কোন এক অজানা কারণে।
এক মুহুর্তের জন্যও একথা ভুলে গেলে চলবে না যে পাকিস্তানের মত আপোষ ও তয়-তদ্বির করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসে নি। এই স্বাধীনতা কষ্টার্জিত লাখো লাখো হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ খৃষ্টান নারী-পুরুষের রক্তে সারাদেশ রঞ্জিত করে এই স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। তাই এদেশে সকলের সমান অধিকার থাকতেই হবে এবং তার অঙ্গীকার ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্য্যন্ত দশকের পর দশক ধরে জাতির সামনে প্রকাশ করা হয়েছে। পরিণতিতে মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে অত্যন্ত দ্রুততা ও আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সাথে বাহাত্তরের ঐতিহাসিক সংবিধান প্রণয়ন করে ঐ বছরের ৪ নভেম্বরেই তা সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন লাভ করে। এই সংবিধানের মূলনীতিতে লিখিত হয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হবে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ। এগুলি পাকিস্তানের তাবৎ আদর্শ ও নীতি বিরোধী এবং দেশ-বিদেশে প্রশংসিত।
এর সাথে থাকলো, দেশে এমন কোন আইন প্রণয়ন করা যাবে না যা সংবিধানে গৃহীত মূলনীতি সমূহের পরিপন্থী। আর নিশ্চয়তা দেওয়া হলো আইনের শাসনের। সাথে স্পষ্টাক্ষরে লিখিত থাকলো, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান-তাই ধর্ম, গোষ্ঠী, লিঙ্গ বা বর্ণগত কারণে কোন নাগরিকের প্রতি কোনরূপ বৈষম্য করা যাবে না। যাবে না ধর্মের নামে কোন রাজনৈতিক দল গড়া বা রাজনীতি করা।

হিন্দু ধর্মীয় আইন কোন দেব-দেবতা প্রণয়ন করেন নি। কোন ধর্মগ্রন্থে, যেমন গীতা, বেদ, উপনিষদ, রামায়ন বা মহাভারতেও হিন্দু পারিবারিক আইন বলে কোন আইনের ন্যূনতম উল্লেখও নেই।

পূজা-পার্বণের ক্ষেত্রে দেখা যায় হিন্দু সম্প্রদায় সাধারণত: ছয়টি দেবদেবী পূজা করে থাকেন। তার মধ্যে মহা ধূমধামে যে পূজাটি করা হয় তা হলো দুর্গাপূজা। দুর্গাকে মাতৃরূপী দেবী বলে অভিহিত করা হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমগ্র হিন্দু সমাজ বাংলাদেশে, ভারতে ও পৃথিবীর নানা দেশে সর্বাধিক আন্দোলিত হয়ে থাকেন। দুর্গাপূজা বস্তুত:ই একটি উৎসব-এর সাংস্কৃতিক দিকও উজ্জ্বল। প্রায় ৫ দিন ধরে এই পূজা বা মাতৃ আরাধনা করে থাকেন শিশু কিশোর-যুবক-বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নির্বিশেষে। অপরাপর দেব-দেবী যাঁদের পূজা করা হয় তাঁরা হলেন কালী, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও নারায়ন। শেষের দুজন পুরুষ দেবতা কিন্তু যদিও কার্তিক পূজা বছরে একদিন অনুষ্ঠিত হয় তার খবর কোন হিন্দুই রাখেন না। তবে নারী লক্ষ্মীদেবীর পূজা মহাধূমধামে প্রায় সকল বাড়ীতেই অনুষ্ঠিত হয়। আর সরস্বতীপূজা-জ্ঞানদাত্রী সরস্বতী পূজাও ব্যাপকভাবে আয়োজিত হয় বিশেষ করে হিন্দু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অদম্য উৎসাহে।

এই বক্তব্যের দ্বারা আমি যা বুঝাতে চাইছি তা হলো হিন্দু ধর্মে নারীকে দেবীর আসনে বসানো হয়েছে-সর্বাধিক সম্মানও তাঁদেরকে দেওয়া হয়েছে। তাই নারীর সেই মর্য্যাদা সকল ক্ষেত্রে সমুন্নত রাখতে হবে।

আবার হিন্দু ধর্মে যে সব কুসংস্কার ছিল-যেমন স্বামীর মৃত্যু হলে বধূকেও একই চিতায় একসঙ্গে পুড়িয়ে মারা, বিধাব বিবাহ প্রথা চালু করা প্রভৃতিতো মহাজ্ঞানী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রাজা রাম মোহন রায় কোন কালে। সেই ইংরেজ আমলে চালু করে গেছেন। এই সংস্কারের সুফল মহিলারা আজও উপভোগ করছেন-ভবিষতেও তা অভ্যাহত থাকবে। হিন্দু ধর্মের কি এতে ক্ষতি হয়েছে? পরবর্তীতে প্রণীত হয়েছে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন যদিও প্রচলিত হিন্দু আইন তার অনুমোদন দিয়ে থাকে কিন্তু রাষ্ট্র প্রণীত এই আইনের বিরোধিতা তো কাউকে করতে দেখি না কারণ নিশ্চয়ই এই যে, ঐ বিরোধিতা যদি কেউ করে, সে বা তারা হালে পানি পাবে না। জেলেও যেতে হতে পারে।

কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে নারী সমাজ, বিশেষ করে তাঁদের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক এবং অরাজনৈতিক সংগঠন যখন এই পুরাপতন এবং নারী-অধিকার বিরোধী হিন্দু পারিবারিক ও হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধনের দাবী তোলেন। মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বেগম সুফিয়া কামাল, তাঁর পূর্ব সূরী বেগম রোকেয়া, মানবাধিকারী কর্মী সুলতানা কামাল, প্রয়াত রাখী দাস পুরকায়স্থ, নানা এন.জিও এবং ব্যাপকসংখ্যক হিন্দু পুরুষ হিন্দু আইনের দ্রুত সংস্কার দাবী করে রাজপথে নেমেছেন। সরকারও এ দাবী গুলি প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছেন।

কিন্তু এক শ্রেণীর হিন্দু মৌলবাদী হিন্দু পারিকারিক ও উত্তরাধিকার আইনের বিরোধিতায় সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন। তাঁদের মূল আপত্তির জায়গাটা হলো হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে পৈত্রিক সম্পত্তিতে নারীদেরও সম-অধিকারের ও হিন্দু বিবাহ বাধ্যতা মূলক রেজিষ্ট্রেশনের দাবীর প্রশ্নের। যে বিপুল সংখ্যক মানুষ এই সংস্কারের দাবীগুীকে সমর্থন করেন-তাঁদেরকে তারা আওয়ামী লীগ বিরোধী বলে সম্প্রতি প্রকাশ্য বক্তব্য রেখেছেন।

অথচ তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন, আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে হিন্দু-প্রধান দেশ উত্তরাধিকার সহ সকল ক্ষেত্রে হিন্দু ও মুসলিম নারী পুরুষের, এমন কি বয়োপ্রাপ্ত নারী-পুরুষের স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হওয়ার অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে ভারতের সংবিধান সংশোধন করেছেন। কী হিন্দু, কী মুসলমান-কোন ভারতীয়ই এ আইনের বিরোধিতা করেন না। যত বিরোধিতা সব বাংলাদেশের অতি ক্ষুদ্র কিছুসংখ্যক হিন্দু মৌলবাদীর।

তাঁদের কথা হলো, এ দেশে হিন্দুরা সংখ্যায় কম-তাই অন্যায়ের প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম। তার ওপর যদি মেয়েরা পিতার সম্পত্তির অংশ বিশেষ উত্তরাধিকার হিসেবে পায় তবে ঐ মেয়েদের প্রাপ্ত সম্পত্তির লোভে মুসলিমরা ফুঁসলিয়ে ঐ মেয়েদেরকে বের করে নিয়ে বিয়ে করবে-ধর্মান্তরিত করবে। অদ্ভুত যুক্তি বটে। হিন্দু মেয়েরা লেখাপড়া শিখছে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে, এদের মধ্যে অনেকেই বিত্তশালী পিতার সন্তান ফলে সোনার গহনা সজ্জিত এবং পার্সে অনেক টাকাও অনেক সময় থাকে।

ঐ ধনীর সন্তান মেয়েরা বিয়ের আগে ও পরে দিব্যি বিশাল অংকের টাকা নিয়ে দামী গাড়ীতে চড়ে নয়নাভিরাম বিপনীগুলিতে প্রকাশ্যে দামী সোনা-হীরা-মুক্তার গহনা, শাড়ী, থ্রি পিস প্রভৃতি কিনে নিরাপদেই তো ঘরে ফিরছেন। এ ধরণের উদাহরণের খুব একটা অভাব নেই। তবুও মনে করতে হবে হিন্দু মেয়েরা সম্পত্তির মালিক হলে তাদেরকে মুসলমান ছেলেরা জোর করে বের করে নিয়ে যাবে-অসম্মতিতে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করবে। বাস্তব হলো-যেহেতু হিন্দু মেয়েরা কদাপি সম্পদের মালিকানা পায় না এবং সাধারণত: গৃহিনী তাই তাদের স্বামীর মৃত্যুর পরে স্বামীর বিপুল সম্পত্তি থাকা সত্বেও অসহায়ত্বের শিকারে পরিণতও হন এবং তখন কেউ কেউ স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিতও হন সচ্ছল সংসারে বিয়ে করেন। আবার জোর করে যে ধর্মান্তরিত কেউ হন না তাও ঠিক না। ভারতবর্ষের সমাজে বৃটিশ আমলে অসংখ্য হিন্দুকে টাকা বিনিময়ে খৃষ্টান বানানো হয়েছে আজও যে তা আদৌ হয় না তা ঠিক না। উগ্রপন্থী হিন্দুদের তাতে তো তেমন আপত্তি দেখি না। আবার বিত্তশালী পরিবারের মেয়ের সাথে হিন্দু ছেলেদেরই মেয়ে বা তার অভিভাবকদের অসম্মতিতে জোর করে বিয়ের ঘটনাও তো আছে।

যে সব হিন্দু মেয়েরা লেখাপড়া শিখে চাকুরী-বাকুরী ব্যবসা-বাণিজ্য করে তাদেরকে তো হিন্দু মৌলবাদীরা বন্ধ করতে বলেন না? কৈ অমন ধরণের মেয়েদেরকে অপহরণ, জোর করে ধর্ষণ বা ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার ঘটনা নেই এমন দাবী কেউ করে না। তা প্রতিরোধ করতে পারে সামাজিক সচেনতা, অসাম্প্রদায়িক আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গী ও আইনের শাসন।
ঐ মৌলবাদীরা নির্লজ্জের মত বলেছেন, “আমরা হিন্দুরা তো আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক। কিন্তু যাঁরা হিন্দু মেয়েদের উত্তরাধিকার আইন সংস্কার করে সম্পত্তির মালিকানা দেওয়ার পক্ষে হিন্দু আইনের সংস্কার দাবী করেন-তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়কে আওয়ামী লীগ বিরোধী ভূমিকায় নিয়ে যেতে চায়। অদ্ভূত যুক্তিই বটে। এ দাবীর সাথে ভোটের আগৌ কোন সম্পর্ক নেই বরং দাবীগুলি মেনে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তা যত দ্রুত কার্য্যকর করবে সরকার তত বেশী জনপ্রিয় হবে।

একটি কথা মনে পড়ে গেলে। মাত্র কয়েকদিন আগে হেফাজতে ইসলামের বর্তমান আমীর এক ওয়াজে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০০ বছর ক্ষমতায় থাকলেও হেফাজতের কোন আপত্তি নেই তবে তাঁদের ১৩ দফা কর্মসূচি মানতে হবে। হেফাজত যে একটি মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল উগ্রপন্থী ধর্মান্ধ দল তা কারও অজানা নেই। তারা কেন অসাম্প্রদায়িক দল বলে বিশ্বব্যপী পরিচিত আওয়ামী লীগ ২০০ বছল দেশের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার কথা বলবে? বলেছে এই কারণে যে তাদের ১৩ দফা মানানোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকেও হেফাজত একটি মৌলবাদী এবং সাম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী দলে পরিণত করতে চায়।

আরও লক্ষ্যনীয়, হেফাজতিরা ও হিন্দু মৌলবাদীরা কেউই বিশস্ত এ কথা বলছেন না যে বাংলাদেশের জনগণ যতদিন আওয়ামী লীগকে সমর্থন করবে, আর তা যদি ২০০ বছরও হয়, তারা তা সমর্থন করবেন। অথচ এটাই হলো গণতন্ত্রের মূল কথা। তারা যে গণতন্ত্র বিরোধী পৃথক ভাষায় হলেও তারা ঐ একই কথা বলছে। কারণ সব মৌলবাদীই সমভাবে গণ-বিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল।

নিবন্ধটির কলেবর আর না বাড়িয়ে একটি বিষয়ের প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে হিন্দু ধর্মই হলো সর্ভাধিক প্রাচীন ধর্ম যার উৎপত্তি ও বিকাশ ভারত ভূমিতে। বস্তুত: একে সনাতন ধর্ম বলা হয়। এ কারণেই প্রাচীন কালের অনেক পুরাতন এবং অধুনা পরিত্যজ্য বহু বিধি বিধান হিন্দু অধ্যুষিত ভারতই শুধু নয়-পোলও সংস্কার করে নারীর সমানাধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে নারী সমাজকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে।

বিদেশে অবস্থানকারী এক শ্রেণীর হিন্দু মৌলবাদীরাও বাংলাদেশের বিন্দু পারিবারিক আইন পরিবর্তনের তীব্র বিরোধিতা করছেন। তাঁরা তো আমেরিকা বা ঐসব উন্নত দেশের নাগরিকত্ব সপরিবারে নিয়ে দীর্ঘকাল বসবাস করছেন। সেখানে কিন্তু হিন্দু নারীর তাবৎ অধিকার স্বীকৃত মৃত পিতার সম্পত্তিতে স্ত্রীর আধিকার সর্বাগ্রে এবং তা হিন্দু-মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্টান নির্বিশেষে। স্ত্রীর মৃত্যুর পরেই কেবল সন্তানেরা উত্তরাধিকার পেয়ে থাকে। ওখানে তো তাঁরা কেউ ঐ আইনের সংস্কার দাবী করেন না? দাবী করলে ঘর ভাঙবে-এমন আশংকায় কি? অথবা ঐসব দেশে কি হিন্দুধর্মকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে-যার জন্যে তার সংস্কার দাবী করা পিজ্জনক।

আশা করবো সংসদের আগামী অধিবেশন দীর্ঘতর হবে এবং সেখানে হিন্দু পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইনের প্রগতিমুখীন সংশোধনী পাশ করে পিতার সম্পত্তিতে নারীত্ব সম-অধিকার বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ও যুক্তিযুক্ত কারণে স্ত্রী স্বামীকে এবং স্বামী স্ত্রীকে তালাক দানের অধিকারের সপক্ষে আইন প্রণয়ন করবেন। সংবিধান রক্ষাও করুন-মানবাধিকাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!