হোমিওপ্যাথি অর্গাননের ব্যাখ্যা

হোমিওপ্যাথি অর্গাননের ব্যাখ্যা (শিক্ষার্থীদের জন্য)
ডাঃ আওলাদ হোসেন

প্রথম অংশে ৩, ৫, ৬, ৭, ৯, ১১ সূত্র আলোচনা করা হয়েছে। এ পর্বে-১৫, ২৬, ৩৬, ৩৮, ৪০, ৬৩, ৭০ মূল বইয়ের অনুবাদক ডা. রেজাউল করিমের বই থেকে বাংলা নেয়া হয়েছে। আমার পক্ষে সম্ভব না ইংরেজী থেকে বাংলা করা ফলে সম্পূর্ণ সূত্র দেয়া হয় নাই। তবে পড়ে নিতে হবে।
হোমিওপ্যাথিতে রোগে আক্রান্ত হওয়া বলিতে কি বুঝায়? অদৃশ্য শক্তি দ্বারা আক্রান্ত হওয়া বা না হওয়া বলিতে কি বুঝায়? কিন্তু রোগে লক্ষণ সমূহ ছাড়া অন্য কিছ্ইু আবিস্কার করা যায় না। ঔষধ কখনো রোগের আরোগ্য করতে পারত না যদি মানুষের স্বাস্থ্যে পরিবর্তন করতে ক্ষমতা তাদের না থাকতো অথচ যুক্তির সাহায্যে এ কার্য সম্পাদন করা সম্ভব না। ঔষধের ক্রিয়াকালে অবগত হই। ওষুধের রোগ উৎপাদন ক্ষমতা ও রোগ আরোগ্য ক্ষমতা সদৃশ্য চিকিৎসাবিধান ছাড়া আর কোন পদ্ধতি নেই যা কার্যকর হওয়ার অঙ্গীকার করে। চিকিৎসাধীন রোগের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলোর সাথে মিলে যায় তাহলে সে ঔষধটি যথার্থ শক্তিকৃত এবং সূক্ষ্মমাত্রায় ব্যাধিগুলো দ্রুত নির্মূলভাবে ও স্থায়ীভাবে আরোগ্য করে। সদৃশ্য বিধান হচ্ছে differing in kind and very similar to manifestation এটাই homoeopath সূত্র-২৬: সবল দুর্বলটিকে প্রতিহত করে। NMA এবং AMA বলতে Natarul Morbific agent এবং Artificaial Morbific agent একটি রোগ এবং অপরটিকে ওষুধ এবং সদৃশ হিসেবে ঔষধ শক্তিশালী হয়ে থাকে। ফলে দুর্বলটি সবলটি কর্তৃক অপসারিত হয়ে থাকে এবং সবলটি পরে জীবনী শক্তি দ্বারা বিতাড়িত হয়ে থাকে বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসৃয়মান হয়ে দেহকে রোগমুক্ত করে। অর্গাননের এই জ্ঞান অবশ্যই জানতে হবে, কিন্তু এই বিদ্যাকে সহজ সরলভাবে বর্ণনা করা Organon এর শিক্ষাকে বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী হতে হয়। কিন্তু কিভাবে যেন প্রচারিত ও প্রতিষ্ঠিত সত্যে পরিনত হয়েছে যে Organon না জানলেও হবে অথবা Organon জানার প্রয়োজন নেই এটা কঠিন এবং দুর্বোধ্য। রোগের সাদৃশ্যতাই প্রধান এবং আরোগ্যের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তুচ্ছ। আপনি যখন টাইফয়েড জ্বরে বিকারের জন্য বেলেডোনা দেন …… আপনি জ্বর দমন করতে পারবেন না বরং আপনি রোগীকেই দমিয়ে দিবেন ডা: কেন্ট। বেলেডোনা টাইফয়েড জ্বর উৎপাদন করতে পারে না, আরোগ্য ও করতে পারে না। কয়জন এরূপ তথ্য জানেন বা এটা কোন তথ্যই না, কারণ না পড়েই আমরা ডা. কেন্টকে ছাড়িয়ে গেছি অথবা টাইফয়েড কোন জ্বরইনা অথবা হাসপাতাল তো আছেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে Susceptibility নিয়ে। জীবনীশক্তির মত রোগের প্রবণতা না থাকা এলোপ্যাথিতে কোন ব্যাপার না কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে সূত্র-৩১ এ বলা হচ্ছে-When our organism is sufficiently disposed and susceptible to the attacks পর্যাপ্তভাবে প্রভাবিত এবং আক্রমনের প্রতি সংবেদনশীল হয় MNA Mortific noxous agent (AMA. NMA দেওয়াই আছে) জীবনীশক্তির সংবেদনশীলতার উপর নির্ভর করে ব্যাধিশক্তির উপর নির্ভর করে না, যে কারনেই হোক জীবনীশক্তি ব্যাধিশক্তির প্রতি সাড়া দেয়। অর্থাৎ রূপসী রোগ শক্তি দূর দিয়ে যাচ্ছিল Susceptibility জীবনীশক্তিকে প্রভাবিত করে রূপসীকে কাছে টেনে আনে Enjoy করার জন্য। পরে দেখতে পায় এটা রূপসী না রাক্ষসী তখন প্রকৃতি রক্ষা করার জন্য তার সাহায্যে এগিয়ে আসে, সাড়া দেয়, ওষুধের লক্ষণ প্রকাশ করে (এটা উপমা মাত্র) একটি নিরঙ্কুশ আর অপরটি শর্তযুক্ত ক্রিয়া করে। সূত্র-৪৬ এ দেখা যায় প্রকৃতির কর্মপদ্ধতি থেকে অনেক ব্যাধির দৃষ্টান্ত দেয়া যায়, যা সদৃশ্যচিকিৎসা পদ্ধতিগত ভাবে অন্য সদৃশ্য লক্ষণ বিশিষ্ট ব্যাধির দ্বারা আরোগ্য হয়েছে….। কিন্তু অন্য সূত্রে প্রমাণ করা হয়েছে যে এতে অনেক অসুবিধা আছে ফলে হোমিওপ্যাথির উদ্ভব হয়েছে স্রষ্টার ইচ্ছায়। এখন ৩টি উদাহরণ দিয়ে অপরটির উদাহরণ দেয়া হবে। অনেকে এই পর্যন্ত কিছুই বুঝতে পারেন নাই বিশেষ করে কলেজের ছাত্র/ছাত্রী। প্রশ্ন করতে পারেন সূত্র-১৫ থেকে সূত্র ৩৩ পর্যন্ত জেনে লাভ কি? এখানে রোগে কিভাবে আক্রান্ত হয় তার কিছুটা বলা হয়েছে যা না জানলে হোমিওপ্যাথি জানা যাবে না। এলোপ্যাথি এসে স্থান করে নেবে। সূত্র: ৩৫ যখন ২টি বিসদৃশ প্রাকৃতিক ব্যাধি এক ব্যক্তির মধ্যে একত্রিত হয়, বিসদৃশ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয় স্বয়ং প্রকৃতিও বিসদৃশ ব্যাধিকে অপর একটি বিসদৃশ ব্যাধি দ্বারা অপসারণ করতে সক্ষম নয়, যদিও তা খুব শক্তিশালী হয়। বা ওষুধের বিশদৃশ প্রয়োগ হয়।
সূত্র-৩৬ দৃষ্টান্ত-১, মানবদেহে ২টি সমান শক্তির বিসদৃশ ব্যাধির ক্ষেত্রে পূর্বেরটি যদি অধিকতর শক্তিশালী হয় তাহলে পরেরটি আক্রমন করতে পারে না। দৃষ্টান্ত-২, সূত্র-৩৮। নতুন বিসদৃশ ব্যাধিটি অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী হয়, পূর্বের দুর্বলটির বদলে পরের সবল ব্যাধিটি তার ভোগকাল সমাপ্ত করবে এবং পুরাতন ব্যাধিটি পুনরায় দেখা দেয় উদাহরণ দেয়া আছে। সূত্র: ৪০ দৃষ্টান্ত-৩ নতুন ব্যাধিটি দীর্ঘদিন ক্রিয়াশীল তাকার পর পুরাতন ব্যাধির সাথে যুক্ত হয়, জটিল ব্যাধি গঠন, করে যেমন সিফিলিসের রোগী সোরা হয়। একটি অপরটিকে আরোগ্য করতে পারে না, যার যার স্থানে অবস্থান করে উদাহরণ দেয়া আছে। এ ক্ষেত্রে যদি কেহ বলেন যে, আমি অর্গানন বুঝি না কিন্তু জটিল ও কঠিন রোগের অভিজ্ঞ (৪০ বৎসর) ডাক্তার তাহলে তাকে কে কি কিভাবে শেখাবে। আমার মনে হয় হোমিও চিকিৎসা জন্ম লগ্ন থেকেই এই বিশ্বাস নিয়ে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু চিকিৎসাতো ভিন্ন জিনিষ আর রোগতো গ্রামার অনুসরণ করে না, দেহটি বিচিত্রভাবে গড়া, কেহ রোগে বৎসরের পর বৎসর ভুগতে থাকে, খেতে পারে না, বিছানায় সব কিছু করতে হয়, অথচ গরিব অশতিপর বৃদ্ধা খাবার চেয়ে বলছে কোটে গেইল চেয়ারম্যান, ভোট লাগিবার নয় ভোট। সেও জানে গণতন্ত্রের মূল কথা ভোট যা না হলে চেয়ারম্যান হওয়া যায় না তবে পরিস্থিতি যদি অগণতন্ত্রের হাতে যায়, ভোট দেয়ার আগেই যদি ভোট দেয়া হয়ে যায় অথবা ভোটের কোন প্রার্থী পাওয়া না যায় অথবা সূক্ষ্মকারচুপি আইনকে অসহায় করে তুলে অথবা জোর যার মুল্লুক তার অথবা গরিব অশিক্ষিত দেশবাসীর কারণে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলা না যায় অথবা অপশক্তির হাতে শাসন ক্ষমতা চলে যায় অথবা পরাশক্তির অধীনস্ত হয়ে পড়ে ন্যায় নীতি ভাল মন্দ অকেজো হয়ে যায় অথবা অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করে লাভ না হয় অথবা পরকালে বিম্বাস না থাকে অথবা মীর জাফরের আছড় হয়ে থাকে অথবা আইন বলতে কিছু না থাকে তা হলে মৌলভীর বাড়ির বিড়ালও দুই হরফ জানে আর নৈতিকতা হারানোর ব্যথায় জর্জরিতরা বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? কিন্তু স্রষ্টা তার সৃষ্টি কর্মকে রক্ষা করা বা ধ্বংস করার ক্ষমতা মানুষকে কোন কালেই দেন নাই। পরিনাম পরিনতি বিচার করা বা আল্লাহর আইনকে হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কাউকে দেন নাই। সূর্যের গতি, পৃথিবীর আবর্তন বিবর্তন কোটি কেটি Combination মানুষ তার কয়টির হিসাব রাখে? সুমধুর মায়াময় কণ্ঠের গান সকল দু:খ কষ্ট ভুলিয়া দেয়। বিরহ বিচ্ছেদের গান ভাটিয়ালি যদিও এখন আর নৌপরিবহন নেই তবুও স্মৃতির পাতায় ঢেউ দিয়ৈ যায় বন্ধু তুমি আইলায়নারে আরও কত কি? রাজনীতির নোংড়া গ্যারাকল আর বৃহৎ শক্তির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে গান ধরতে হবে বনের বিহগ তুই থাকিস শতঘোরবনে অথবা লালনের বাড়ীর কাছে আরশী নগর (আমার মেয়ের নাম) এক দিনও না না দেখিলাম তারে এসব নিয়ে থাকাই ভাল কিন্তু তার পরও জন্ম স্বাধীন বলে কথা তাদেরকে এসেব দিয়ে ভুলিয়ে রাখা যাবে না। কালের প্রবাহে ১০০, ২০০, ১০০০ বৎসর কিছুই না। প্রভাবিত প্রতারিত হওয়া যাবে না, বাঙালি জেগেছে। ক্রিকেটর মত অবস্থা আরকি? পরাশক্তিকে পরাজিত করার দৃঢ় সংকল্প আশা-নিরাশার দ্বন্ধ দোলায় আর দোলাচলে পানি উজান বইতে শুরু করবে কিন্তু কবে কার পালা? হাসির কিছু নেই অনেক কষ্টের হাসি, দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতার হাসি। বাঙালিকে যে পাত্রে রাখা যায় তারই রূপ ধারণ করতে অব্যর্থ, লাভের মধ্যে মাঝে মধ্যে গর্জে উঠা, খামোশ! এসব কথা বলার পর প্রশ্ন উঠবে আমার হোমিওপ্যাথির কি হবে? ডা. হ্যানিম্যানও তার দেশের চিন্তা করেছেন। হোমিওপ্যাথি নিয়ে রসিকতার শেষ নেই। অনেক প্রশ্ন করেছি রোগের কি খবর। হ্যাঁ রোগ সেরেছে তবে এলোপ্যাথি খেয়ে। অথবা ক্লিনিকে গ্যাস দেয়া অথবা সার্জারিতে সন্তান প্রসব যা W.H.O মাঝে মাঝে নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগ করে থাকে কিন্তু কে শোনে কার কথা। টাকা কামাই বড় কথা। শর্দি কাসিতে প্রাকৃতিক রোগ ও সন্তান প্রসবে Natural Birth আর হবে না কারণ কঠোর পরিশ্রম ধন দৌলতের অন্তরায়। প্রকৃতির সন্তান জনবিচ্ছিন্ন কিন্তু মানুষ কেন যে মূলকে বাদ দিয়ে শাখা প্রশাখা নিয়ে টানা টানি করে তার কারণ বুঝতে পারি না। অর্গাননই সব ডা. হ্যানিম্যানের কথা। এর পর সূত্র: ৪৪ দিয়ে শুরু করবো। সদৃশ্য ব্যাধির ৩টি অবস্থা। অর্গানন দিয়ে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব না তাই মেটেরিয়া মেডিকা দিয়ে রোগীর ঐষধ নির্বাচন করা হয়ে থাকে। অর্গাননে রোগীকে চিহ্নিত করা হয়। বিভিন্ন অনুশীলনীতে অর্গানন ভিত্তিক চিকিৎসা প্রদান এখন আর সম্ভব নয় বলে মত প্রকাশ করে থাকেন, সেহেতু শিক্ষার্থীরা অর্গানন ভিত্তিক চিকিৎসা দিতে পারে, প্রকৃত হোমিওপ্যাথ হতে পারে তার জন্য ডা. কেন্ট বলেছেন (১) The art of Healing must not be taught first, The science must be taught first and the art next. অথবা ডা. হ্যানিম্যান (২) Many person of my acquintance but half converted to homoeopathy have repeatedly begged me to
publish more exact direction asto how this doctrine ….. I am astonished that ….. more special instructions can be whised for. অর্থাৎ (১) প্রথমে কৌশল না শিখিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষা দিতে হবে। ২। আমাকে বার বার অনুরোধ করে কিভাবে বাস্তবে প্রয়োগ করা যায়…. অর্গানন অব মেডিসিনে নির্দেশনা থাকার পর আরও আশা করা হয় (সংক্ষেপিত)। অতএব যারা আগেই রোগীকে ঔষধ দেয়া শেখে অথবা অর্গানন বাদ দিয়ে অন্য কিছু প্রচার করে তারা অপূর্ণাঙ্গ হোমিওপ্যাথ এবং বিভ্রান্তির বেড়াজালে আবদ্ধ থেকেই রোগীকে ঔষধ দেয়-হোমিওপ্যাথিলে পঙ্গু করে এলোপ্যাথের কৃপাভাজন বানায় ও অজ্ঞতার চরম শিখরে আরোহন করে। ৬ মাসেই ডাক্তার হয়ে যায় আর ক্যান্সার ভাল করে। অথচ তার অনেক আগেই জীবনী শক্তি শেষ শুধু নি:শ্বাস টুকু আছে।


কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



 

  • প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!