রাষ্ট্রীয় মৌলনীতিঃ বাল্য বিবাহঃ পাঠ্যক্রম ও হেফাজত

 

 

রাষ্ট্রীয় মৌলনীতিঃ বাল্য বিবাহঃ পাঠ্যক্রম ও হেফাজত
সিডনীর কথামালা-৭৭
রণেশ শৈত্র (সিডনী থেকে)
সভাপতিমন্ডলীর সভাপতি, ঐক্য ন্যাপ

বাংলাদেশের প্রগতি এবং ধারাবাহিক উন্নয়ন অগ্রগতির স্বার্থে পথের বঙ্গবন্ধু সূচনা করেছিলেন ব্যাপক জন সমর্থনের সুযোগের সদ্ব্যাবহার করে, আজ এ কথা দৃঢ় ভাবেই বলার সময় এসেছে যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার প্রধান বিরোধী দল, গৃহ পালিত বিরোধী দল সকলেই ঠিক তার উল্টোপথে হাঁটছেন। এর পেছনে রয়েছে নিজ নিজ দলের সুযোগ সন্ধানী স্তাবকদের অতি-তৎপরতা। যারা আজ হয়ে দাঁড়িয়েছে সব কিছুর নেপথ্য নিয়ন্তা।এটা সম্ভব হচ্ছে যে কোন মূল্য ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকার বা ক্ষমতায় পুনরায় অধিষ্ঠিত হওয়ার নীতি বিবর্জিত সীমাহীন লোভ ও আকাংখ্যা।
পরিণতিতে আধুনিকতা , অগ্রসরমানতা, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, আইনের স্থাপন, সংবিধানের মৌলনীতি ও বঙ্গবন্ধুর, সর্বজনগৃহীত নীতিমালা ও মৌল আদর্শগুলি হচ্ছে বর্জিত। তাই আজ বলা চলে, প্রশ্ন করা চলে বঙ্গবন্ধুকেই
বঙ্গবন্ধু
তুমি কি কেবলই ছবি
শুধু পটে আঁকা,
শুধুই মাল্যদান
কতিপয় দিনে
তাই কি ছিল তোমার প্রাপ্য
কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ছবিতে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানোই কি আদতে তাঁর ফেলে যাওয়া আদর্শগুলিকেও শ্রদ্ধা জানানো বলে গণ্য হতে পারে? আদর্শকে না মেনে আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা না জানিয়ে বা আদর্শের ব্যাপারগুলিকে সংবিধান সংশোধন করে পাল্টে দিয়ে আদৌ কি বঙ্গবন্ধু কে শ্রদ্ধা জানানো যায়? কিন্তু এখন তো ঘটছে বা ঘটানো হচ্ছে তাই।
বাহাত্তরের মূল সংবিধানে না থাকা সত্বেও “বিসমিল্লাহ্” কে বসানো হয়েছে, “ধর্মনিরপেক্ষতা” রাখা হলেও “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” সন্নিবেশিত করা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী সহ ধর্মভিত্তিক তাবৎ দল বাহাত্তরের সংবিধানে নিষিদ্ধ করা হলেও এগুলি পঞ্চদশ সংশোধনী এসে তাতে স্থান দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিদায় দিয়ে কার্য্যত: একটি ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে বাংলাদেশকে। বিসর্জিত হয়েছে দেশের বহু-ধর্ম, বহু-সংস্কৃতির চরিত্রকে।
কিন্তু এগুলি করার জন্যে কোন মহল থেকেই কদাপি দাবী উত্থাপন করা হয় নি। তবু করা হয়েছে মৌলবাদীদের সাথে গোপন এক আপোষের ভিত্তিতে। কিন্তু আপোষের ফলে মৌলবাদীরা নিরাপদে থাকার যে সুযোগ পেয়েছে তার সদ্ব্যাবহার তারা করছে তাদের স্বার্থে এবং সরকার, দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে। তারাই নানা নামে জঙ্গীবাদী সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তুলছে হাল আর্টিজান, রামু ও অন্যান্য জায়গায় গণহত্যা পরিচালনা করে ও ব্লগারদেরকে “নাস্তিক” হিসেবে আখ্যায়িত করে অনায়াসে তাদেরকে চাপাতির আঘাতে হত্যা করেও বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তারা বিচারের আওতার বাইরে বিচারের আওতায় থাকতে পারছে।
এভাবে দিনে দিনে শক্তি অর্জন করে আজ তারা ঐতিহাসিক শিল্প কর্ম গ্রীক ভাস্কর্য্য ধ্বংসের দাবীতে মরিয়া হয়ে উঠলেও কোন মন্ত্রী, এম,পি, বা কোন বাহিনীর কোন কর্মকর্তাও এ ব্যাপারে হুমকিদাতাদেরকে সামান্যতম হুশিয়ারীও দিচ্ছে না-কাউকে গ্রেফতার করা তো দূরের কথা। এ দাবীটি হলো সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রীক সংস্কৃতির প্রতীক দাঁড়িপাল্লা হাতে একটি নারীর আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ভাস্কর্য্য ভেঙে ফেলতে হবে। এ দাবী সরকার কি হজম করে যাবে? বাস্তবে তাই করতে দেখা যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে উত্থাপিত দাবীসমূহ হচ্ছে সমভাবে উপেক্ষিত। যদিও আপত্তি যাঁরা জানাচ্ছেন তাঁরা সবাই সংস্কৃতি বান তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ খ্যাতিমান ব্যাক্তত্ব ও দেশব্যাপী সুপরিচিত সবার শ্রদ্ধাভাজন।
এতটাই তারা মাথায় চড়েছেন যে তাদের সুপারিচিত সবার শ্রদ্ধাভাজন।
এতটাই তারা মাথায় চড়েছে যে তাদের সুপারিশকে দিব্যি মেনে নিয়ে সরকার এবার শিশুদের পাঠ্য পুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ, গোলাম মোস্তফা, সানাউল হক, জসিম উদ্দিন, ভারতচন্দ্র রায় স্তনাকর, জ্ঞান দাস, বাউল লালন সাঁই, সুনীল বঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লার মত খ্যতিমান কবিদের রচিত ১১টি কবিতা, সত্যেন সেন এম ওয়াজেদ আলী, রণেশ দাশগুপ্ত, কাজী নজরুল ইসলাম ও সঞ্জীব চন্দ্র চট্টোপধ্যায় রচিত পাঁচটি গল্প দিব্যি বাদ দিয়ে তার স্থলে সাম্প্রদায়িকতা দোষে দুষ্ট লেখকদের কবিতা, গল্প প্রভৃতি ছেপে দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে লক্ষ লক্ষ কপি ছাপিয়ে বিনামূল্যে বিলি করা হয়েছে।
প্রতিবাদ হয়েছে বহুমাত্রিক পন্থায় সকল স্তবের দেশপ্রেমিক মানুষদের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী শিল্প গোষ্ঠী, ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ঘাতক-দালাল নির্মল কমিটি, কমিউনিষ্ট পার্টি, ঐক্য ন্যাপ। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মন্ত্রীসভার সদস্য রাশেদ খান মেননও। এঁরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ, মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণকারীও। কিন্তু না, তাঁদের দাবী আজও গৃহীত হয়নি হয়েছে উপেক্ষিত। আমরা যারা লেখালেখি করি পত্র-পত্রিকায়, ক্লান্তিহীনভাবে তারাও কলম ধরেছি পত্র-পত্রিকাগুলি তা প্রকাশও করেছে। সরকার তবুও চুপচাপ এ ব্যাপারে কিন্তু তৎপরতার অভাব ছিল না হেফাজতের দাবী মেনে নিতে হেফাজত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পাকিস্তান পন্থী ইসলামী নামধারী জঙ্গী প্রশিক্ষণ ও জঙ্গী পনা এবং জিহাদপন্থী একটি দল। তাদের কথা না মানলে কি সরকার ইসলাম বিরোধী হয়ে যেতো?
প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম উপদেষ্টা সাবেক আমলা মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা অবলম্বনকারী বাল্যবন্ধু এইচ.টি. ইমাম সরাসরি বলেছেন, “হেফাজতের সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রীসভার সভায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেছেন, “হেফাজতীরা সরকারের বিরুদ্ধে নেমে পড়–ক তা আমরা চাই না”। ইমাম আমার সহপাঠিও ছিলেন কিছুদিনের জন্য পঞ্চাশের দশকে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে। আজ তাঁকে বলি, “সাবাস, বন্ধু সাবাস। বুড়োকালে এমন উপলব্ধির জন্য অভিনন্দন।
তবে সচেতন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী সমূহ লেখক-লেখিকা ও তাবৎ গুনীজন অনেকেই সহ এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ নানাভাবে অব্যাহত রেখেছেন। “যা আমাদের পড়তে দেয় নি” নামে একটি বইও প্রকাশ করেছেন সম্ভাবত: গণজাগরণ মঞ্চের সাথে সংশ্লিষ্ট তরুণ-তরুণীরা। ইব্রাহিম মল্লিক সুজন নামক একজন তরুণ এই সংকলন বইটির প্রকাশক। বইটিতে স্থান পেয়েছে পাঠ্যবইতে সরকার কর্তৃক বাদ দেওয়া-
(১) অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ এর কবিতা বই, (২) গোলাম মোস্তফার লেখা কবিতা-প্রার্থনা, (৩) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা “বাংলাদেশের হৃদয়” (৪) সানাউল হকের কবিতা-সভা, (৫) জসীম উদ্দিনের কবিতা -দেশ, (৬) কবি ভারত চন্দ্র রায় গুনাকর রচিত কবিতা-আমার সন্তান, (৭) জ্ঞান দাস এর কবিতা-সুখের লাগিয়া (৮) বাউল লালন ঠাঁই এর -সময় গেলেন সাধন হবে না, (৯) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাঁকোটা দুলছে এবং (১০) রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লার কবিতা-খতিয়ান। সম্ভবত:আরও একটি বাদ দেওয়া কবিতাও ঐ বইতে প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু আমি সেই কবির বা কবিতার নাম সংগ্রহ করতে পারি নি বলে উল্লেখ করতে না পারায় দু:খিত।
সংকলন গ্রন্থটিতে সরকার কর্তৃক প্রকাশিত পাঠ্যবই এ বাদ দেওয়া পাঁচটি গল্পও স্থান পেয়েছে সেগুলো হলো:
(১) সত্যেন সেন এর “লাল পরিটা” (২) এস ওয়াজেদ আলীর “রাঁচি ভ্রমণ” (৩) রণেশ দাশগুপ্তের “মাল্যদান” (৪) কাজী নজরুল ইসলাম এর “বাঙালির বাংলা” এবং (৫) সঞ্জীব চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের “পালামেট ভ্রমণ কহিনী”।
এই প্রতিবাদ সংকলনটির ভূমিকা লিখেছেন সমুদ্র সৈকত। বইটি প্রকাশের নানাবিধ উদ্যোগের সাথে ছিলেন ইব্রাহিম খলিল সবাক, নাহিদা লিলি, শোভন মজুমদার, রাকেশ মন্ডল এবং অন্যান্য।
বইটির প্রচারে সাংগঠনিকভাবে সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এঁদের সকলকে জানাই অকুণ্ঠ অভিনন্দন।
বইটির প্রকাশনা প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অজয় রায় বলেছেন, “এটি খুবই ভাল উদ্যোগ। মৌলবাদীদের মাথার পরে বার বার আঘাত হানতে হবে। সরকারের সমর্থন ছাড়া এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে না। পাঠ্যপুস্তক তৈরীতে যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, মৌলবাদীদের সাথে তাদের যোগ সাজশ থাকতে পারে। এদের সবাইকে চেতনার জায়গা থেকে আঘাত হানতে হবে।”
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, বিষক্ত পাঠ্যপুস্তক এ এক অভিনব প্রতিবাদ। আশা করবো বিনামূল্যে বইটির প্রচারের জন্য যে অসংখ্য কপি ছাপানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা অনুভব করে সুষ্ঠু শিক্ষা প্রচলনের এই অভিনব ধরণের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে সক্রিয়ভাবে সমর্থনের জন্য সম মনোভাবাপন্ন বিত্তবানেরা উদ্যোক্তাদেরকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দিতে দ্রুত এগিয়ে আসবেন এবং যাঁর হাতেই বইটি পড়বে তিনি যেন আরও অন্তত: ১০ জন ছাত্রÑছাত্রীকে (পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্য্যন্ত) পড়ার ব্যাবস্থা করেন যাতে তারা অবহিত হতে পারে কত প্রয়োজনীয়, কত মূল্যবান, কতই না শিক্ষামূলক গল্প-কবিতা থেকে সরকার এ বছর তাদেরকে বঞ্চিত করেছে।
আর সমমনা সকল রাজনৈতিক সামাজিক ছাত্র-যুব ও নারী সংগঠনগুলির কাছে বিনীত আবেদন জানাব সরকারের এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজপথে তুমুল ও লাগাতার আন্দোলন ঐক্যবন্ধ গড়ে তুলুন। দেশ আজ আপনাদেরই প্রতীক্ষায়।
পাঠ্যপুস্তকের এই পরিবর্তন কি হেফাজতের দাবী ও মদিনা সনদ অনুযায়ী শাসন কার্য্যকর করার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত?
তা যদি হয় তবে প্রশ্ন এসেই যায় আবার রবীন্দ্রনাথ বে-আইনী ঘোষিত হবেন না তো?
আমাদের জাতীয় সঙ্গীত নিরাপদ তো?
হেফাজত কিন্তু পাঠ্যপুস্তকেই সীমাবদ্ধ থাকে নি। তারা দাবী তুলেছে, আলটিমেটাম দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রীক ভাস্কর্য্যরে ন্যায়ের ও আইনের শাসনের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা নারী মূর্তিটির অপসারণ করতে হবে? স্পর্ধার একটা সীমা থাকা উচিত। সরকার কি দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন এদের বিরুদ্ধে? অন্তত: বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ভাস্কর্য্যগুলির নিরাপত্তার স্বার্থে? শহীদ মিনার অক্ষত রাখার স্বার্থে? সৌদি আরব, মিশর প্রভৃতি দেশে বহুমূর্তি রয়েছে ওরা কি যাবে সেগুলিকেও ভাঙতে?
তারা আরও এগিয়েছে। ঢুকে পড়েছে শিশুকন্যার বিয়ের বয়স কমাতে এবং ধর্ষকদের সাথে ধর্ষিতা অল্পবয়সী তরুণীদের বিয়ে নিরাপদ করার সুযোগ তৈরি করে আইন প্রণয়ন করতে। সেই মোতাবেক আইন পাশ হয়েছে এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর দিয়ে তার গেজেট ও প্রকাশ হয়েছে। শত সহ¯্র প্রতিবাদের মুখে উদ্বিগ্ন জাতিকে আশার বানী শুনিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে ধর্ষণ অর্ধেকে নেমে আসবে। যেন আকস্মাৎ একটি দৈববানী শুনালেন তিনি।
তা হলে আমরা কি ধরে নেব পুলিশ এখন থেকে আর ধর্ষণের অভিযোগে কোথাও কোন মামলা গ্রহণ করবে না?
নাকি ধর্ষিতাদের যেহেতু ধর্ষকদের সাথে বিয়ে হওয়ার আইনী সুযোগ তৈরী হলো তাই অভিভাবকেরা মুখ রক্ষার্থে আগের চাইতে বেশী সংখ্যায় ধর্ষণ ঘটলেও তাড়াহুড়া করে ধর্ষকদের সাথে বিয়ে দিয়ে দেবেন কাকপক্ষীটিও যাতে ঘটনা না জানতে পারে? এমন কি প্রয়োজন হলে বিপুল অংকের যৌতুক দিয়ে ও ধর্ষকের হাতে তুলে দেবেন ধর্ষিতা নাবালিকাদেরকে?
সব কিছুর পরেও পুলিশকে বলতে গুনছি জঙ্গীরা বড় কিছু ঘটনার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে সারা দেশে ব্যাপকভাবে জঙ্গীদের ধরপাকড় নতুন করে শুরু করা হয়েছে। তবে কি হেফাজাতিরা যারা ঐ জঙ্গীদের ব্যাপকহারে উৎপাদন করে চলেছে তারাও ধরপাকড়ের আওতায় আসবে? জামায়াতীয়রা আরও বড় আক্রমনের মুখে কি পড়বে?
শুধু বলতে চাই পঁচাত্তরের পুনরাবৃত্তি আর যেন দেখার দুর্ভাগ্য না হয়।
পরিস্থিতি যেন সেদিকে আর অগ্রসর না হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের দিকে দ্রুত দৃঢ় প্রত্যয়ে, ফিরে আসে সার্বিকভাবে।

  • প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব কাগজ২৪এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!