‘জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ করেছিলেন, আমরা উন্নয়নশীল করলাম’

অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ করেছিলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশ করলাম। জনগণই মূল শক্তি। বাঙালিকে দাবায়ে রাখা যাবে না। এ অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হবে। এ যাত্রা যেন থেমে না যায়। গর্বিত জাতি হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ কথা বলেন। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের সাফল্য উদযাপন হচ্ছে আজ। উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন জাতি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, নিজের জন্য জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করি। জনগণের স্বার্থ ও কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল জাতির পিতার। যারা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা মানতে পারেননি তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। কিন্তু অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে রূপ নেয়ায় জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে আরও এক ধাপ এগিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে যাত্রা শুরুর পর উন্নয়নের এ স্তরে উত্তরণ এবং জাতিসংঘের সুপারিশপত্র হস্তান্তর করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

এর আগে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে ১০ টাকা মূল্যের স্মারক ডাকটিকিট ও ৭০ টাকার একটি স্মারক নোট অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এদিকে বিকেল ৩টায় ঢাকায় বের করা হবে বর্ণাঢ্য র‌্যালি। ঢাকা শহরকে ১৩টি জোনে ভাগ করে নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজ নিজ উদ্যোগে র‌্যালি রাজধানী প্রদক্ষিণ করবে।

সান্ধ্যকালীন কর্মসূচিতে রাখা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে সমবেতরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানে ৫-৭ মিনিটের একটি লেজার শো প্রদর্শন এবং ১০-১২ মিনিট আতশবাজি পোড়ানো হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে দুই ঘণ্টা। অংশ নেবেন দেশের বরেণ্য শিল্পীরা।
উৎসব উপলক্ষে রাজধানী সেজেছে নতুন সাজে। ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার, এলইডি লাইটিং, রঙিন পতাকায় শহর সজ্জিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!