বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে মানবাধিকার শেখাবে : রাষ্ট্রপতি

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশকে মানবাধিকার শেখাতে না আসে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ তাদের মানবাধিকার শেখাবে। গাজার নৃশংস ঘটনায় তারা (যুক্তরাষ্ট্র) চুপ, অথচ সারা বিশ্বে তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এই খাতে বাংলাদেশকে শিক্ষা না দিতে। কারণ মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য নজির গড়েছে। তিনি বলেন, দেশের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে, সেখানেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সব ধরনের সংঘাতের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে এবং নির্যাতিত ও নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মানবাধিকার শাশ্বত ও সর্বজনীন অধিকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে বিরাজমান বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি বিবেকবান যে কোনো মানুষকেই ব্যথিত করবে। অনেক দেশ ও সংস্থা মানবাধিকারের নামে দ্বি-চারিতায় লিপ্ত হচ্ছে। কাতারের উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় সাম্প্রতিক সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে সেখানেই দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব দেশ, মানবাধিকার সংস্থা ও মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন বলেও তিনি আশা করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র ও দলমত নির্বিশেষে কমিশনকে নির্যাতিতদের পক্ষে এবং নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্কৃতির বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা ও প্রকাশনা বৃদ্ধি, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপরে সার্বক্ষণিক নজরদারি বৃদ্ধি, মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি ও অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার কথাও বলেন তিনি। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, মানবাধিকার সুরক্ষায় পারস্পরিক সংলাপ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, শিক্ষা ও প্রচারসহ সহযোগিতা বৃদ্ধির সব কার্যক্রমে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সমাজের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ও মতাদর্শের ব্যক্তি, যেমন- মসজিদের ইমাম, ধর্মগুরু, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে মানবাধিকার প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত করা গেলে মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও বাংলাদেশ মানবাধিকার সুরক্ষায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। অনুষ্ঠানের সভাপতি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!