নর্দান ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী বছরব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

বাংলা ও বাঙালির আবহমান কালের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে স্থায়ীভাবে ধরে রাখার জন্য নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামে “বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র” প্রতিষ্ঠা করেছে। এদেশের আবহমান কালের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, খেলাধূলা, মৎস, প্রাণি, বন, জাতীয় ব্যক্তিত্ব, জাতীয় নেতৃবৃন্দ, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি বহুবিধ বিষয়ে অতিরিক্ত পড়াশুনা এবং গবেষণা চর্চার আয়োজন রয়েছে এখানে।

আজ (২৯ জুলাই, ২০১৯) নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে এনইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা এর উপাচার্য ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী বছরব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. হাছান মাহ্মুদ, এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ড. মসিউর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা, বিশেষ অতিথি হিসেবে কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি এবং প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, উপাচার্য, এনইউবি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো: হুমায়ূন কবীর, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোশাররফ এম. হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. কাজী শাহাদাৎ কবির সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ও অভিভাবক।

অনুষ্ঠানে মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যেটি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি অনন্য উদাহরণ।

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলা ও বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষাকল্পে এই গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম একদিকে যেমন বাংলা ভাষায় দূর্বল হয়ে বেড়ে উঠছে অন্যদিকে বাংলা ও বাঙালি জাতির বীরত্বগাঁথার সব ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ভুলে যাচ্ছে। ফলে তারা তাদের নিজস্ব জাতিসত্ত্বার ইতিহাস থেকে দূরেই থেকে যাচ্ছে। এসব ভাবনা থেকেই স্বাধীনতার মহান নায়কের ব্যক্তিত্ব, তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলী, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতা, সততা, দেশপ্রেম ইত্যাদি নতুন প্রজন্মের কাছে বিশদভাবে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তায় নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে “বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র”। এখানে রয়েছে গবেষণাধর্মী প্রচুর বই-পুস্তক, জার্নাল ডকুমেন্টস ইত্যাদি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা আরো বই এবং ইতিহাস সংগ্রহের কাজ চলছে।

দেশে এবং বিদেশে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক বই, নিবন্ধ ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছে। তারই কিছু দুর্লভ পান্ডুলিপি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে হার্ড কপি বা অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। দেশী ও বিদেশী এমফিল-পিএইচডি গবেষকরাও এখানে গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধুকে আরো বেশি জানার উদ্দেশ্যে এ গবেষণা কেন্দ্রটি ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষকসহ বহু মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে।

নর্দান ইউনিভার্সিটি পরিবারের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও দেশের সকল শ্রেণির আগ্রহী মানুষ এবং গবেষকদের জন্য এ গবেষণা কেন্দ্রটি অফিস চলাকালীন সময়ে রয়েছে উন্মুক্ত। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

শেখ মাহাবুব রহমান, উপ-পরিচালক, পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!