আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম

অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন ধোনি। ৬ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ও টি২০ সিরিজের জন্য নির্বাচকরা বসছেন দল বেছে নিতে। ঠিক তার আগেই অধিনায়কত্ব ছাড়লেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। নির্বাচক কমিটিকে তিনি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন খেলা ছাড়ছেন না এখনই। কিন্তু আর অধিনায়কত্ব নয়। তাই ইংল্যান্ড সিরিজে যে তিনি খেলবেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

৬ জানুয়ারি তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য দল বেছে নেবে নির্বাচকরা। কিন্তু এই মুহূর্তে রীতিমতো সমস্যায় নির্বাচক কমিটি। ধোনির হঠাৎ অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে কে হবেন অধিনায়ক সেটা নিয়েই শুরু হয়েছে ভাবনা-চিন্তা। যদিও টেস্ট অধিনায়কত্বও এ ভাবেই ছেড়েছিলেন হঠাৎ করে। গত বিশ্বকাপের ঠিক আগে। তখন অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল বিরাট কোহালির হাতে। সেই দায়িত্ব দারুণভাবে সামলেছেন তিনি।  তার পর বার বার প্রশ্ন উঠেছে ধোনির অবসর নিয়ে। এ বার সত্যিই সরে দাঁড়ালেন। হয়তো ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন অবসরের। বিসিসিআই-এর তরফে প্রেস রিলিজ দিয়ে জানানো হয়, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বিসিসিআইকে জানিয়েছেন তিনি আর অধিনায়কত্ব করতে চান না। ওয়ান ডে ও টি২০ আন্তর্জাতিক স্তরের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন তিনি।

বিসিসিআই-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রাহুল জোহরি বলেন, ‘‘আমি বিসিসিআই ও ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানদের তরফ থেকে ধোনিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি অধিনায়ক হিসেবে ওর অসাধারণ অবদানের জন্য। ওর অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিল। যা ভারতীয় ক্রিকেটে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’’ ২০০৪এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ধোনির। ২০০৭এ টি২০তে প্রথম দেশের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ আসে। আর প্রথম সুযোগেই বাজিমাত টি২০ বিশ্বকাপ জিতে। এর পর রাহুল দ্রাবির সরে দাঁড়ানোর পর একদিনের দলের দায়িত্বও চলে আসে তাঁর হাতে। টেস্ট দলের দায়িত্ব পান দেসের বর্তামর কোচ অনিল কুম্বলে সরে দাঁড়ানোর পর। তার পর থেকে সাফল্য কথা বলেছে। বহু বছর পর ভারতকে বিশ্বকাপ দিয়েছিলেন তিনিই।

সব ফর্ম্যাট মিলে মোট ৩৩১টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি। তিনি অধিনায়ক হিসেবে শেষ খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে। শুধু ওয়ান ডেতেই ১৯৯টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব  করেছেন তিনি। যেটা ৩-২এ জিতে নিয়েছিল ভারত। কিন্তু ২০০তম ম্যাচটি না খেলেই সরে দাঁড়ালেন।