ইকবালের স্ত্রী-সন্তানদের ছয় মাসের জামিন

 

 

অনলাইন প্রতিনিধি  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- ডা. ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম, দুই ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল ও মঈন ইকবাল এবং মেয়ে নওরীন ইকবাল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন তারা।

আদালতে ইকবালের পরিবারের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

এর আগে দুনীর্তির মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ডা.  এইচ বি এম ইকবালের কারাবন্দি স্ত্রীসহ তিন সন্তানের সাজার বিরুদ্ধে দেরিতে আপিল করার বিষয়টি মার্জনা করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালত তাদরে জামনি মঞ্জুর করেন।

পরে খুরশীদ আলম খান জানান, তিন বছরের সাজার বিরুদ্ধে তারা নির্ধারিত সময়ে আপিল করেননি। পরে (বিলম্বে) আপিল করেছেন। আদালত বিলম্বের বিষয়টি মার্জনা করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনাদের আইনজীবী আজ জামিন আবেদন করেছিলো। আমি বিরোধিতা করেছি। উনাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণের পর জামিন চাইতে পারে। আদালত তাদের জামিন দেননি। এখন যে কোনো সময় তাদের আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসতে পারে।

সম্পত্তির বিবরণী দাখিলের জন্য ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইকবাল পরিবারকে নোটিশ দেয় দুদক। পরবর্তীতে একই সালের ২৪ মে  মামলা করে দুদক। এ মামলায় বিচারিক আদালত ২০০৮ সালের ১১ মার্চ ইকবালকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছর এবং মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিলের কারণে আরও তিন বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। একইসঙ্গে তার স্ত্রী মমতাজ বেগম, দুই ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল ও মঈন ইকবাল এবং মেয়ে নওরীন ইকবালকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

পরে ইকবাল আত্মসমর্পণ করেন, হাইকোর্ট থেকে খালাস পান। তবে তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে আদালতে কখনো আত্মসমর্পণ করেননি। কিন্তু হাইকোর্টে আবেদন করলে তাদের সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। এর বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ নভেম্বর আপিলে আবেদন করে দুদক। ২৭ নভেম্বর আপিল বিভাগ তাদের সাজার কার্যেকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। সর্বোচ্চ আদালতের এ আদেশের ফলে ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম,দুই ছেলে মঈনুদ্দিন ইকবাল ও ইমরান ইকবাল এবং  মেয়ে নওরিন ইকবালকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া বিকল্প ছিল না। সে অনুযায়ী ইকবালের পরিবার ৮ মার্চ বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরদিন তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!