বিনোদন ডেস্ক কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

ভোডাফোন সুপারনেট ফোরজি-র নতুন বিজ্ঞাপনগুলি আপনারা দেখেছেন নিশ্চই। বিজ্ঞাপনগুলি দর্শকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। বিজ্ঞাপনের দৌলতে এই বয়স্ক জুটি এখন পরিচিত মুখ। মন ভাল করে দেওয়া সেই বিজ্ঞাপনে তাঁদের কাজ প্রশংসা কুড়িয়েছে সব স্তরের মানুষের।

কিন্তু জানেন কী ওই ‘টেকস্যাভি বয়স্ক দম্পতি’ যে সে মানুষ নন। তাঁরা হলেন ভারতের কিংবদন্তী নৃত্যশিল্পী দম্পতি ভন্নাদিল পুডিয়াভিত্তিল ধনঞ্জয়ন(৭৮) ও শান্তা ধনঞ্জয়ন(৭৩)। ২০০৯ সালে শিল্পক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ভারত সরকার তাঁদের ‘পদ্মভূষণ’-এ সম্মানীত করে। বিজ্ঞাপনে তাঁরাই হলেন টেকস্যাভি আশা ও বালা।

বিগত কয়েক দশক ধরে চেন্নাইয়ে ভরতনাট্যম, কথাকলি এবং মৃদঙ্গমের মতো ক্লাসিক্যাল নৃত্যশৈলী শিখিয়ে আসছেন এই দম্পতি। বিয়ে করেছিলেন ১৯৬০ সালে। ক্লাসিক্যাল নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে যে ধরনের গোড়ামি থাকে, তা কিন্তু এঁদের মধ্যে নেই। আর সেই কারণেই ভোডাফোনের বিজ্ঞাপন প্রস্তুতকারী সংস্থা নির্ভনা ফিল্মসের প্রধান প্রকাশ বর্মার প্রথম পছন্দ ছিলেন তাঁরাই। তিনি বলেন, ‘‘বাস্তবের বয়্স্ক দম্পতির খোঁজ করা হচ্ছিল এই বিজ্ঞাপনটি তৈরির জন্য। কিন্তু এমন কোনও দম্পতির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, যাঁরা অবসর জীবন চুটিয়ে উপভোগ করেন।

image1
একটি নাচের অনুষ্ঠানে ভন্নাদিল পুডিয়াভিত্তিল ধনঞ্জয়ন ও শান্তা ধনঞ্জয়ন।

সঙ্গে মজা করতেও ভালবাসেন।’’ আর সেই সময় তাঁদের ক্রিয়েটিভ টিম এই দুই প্রবীণ নৃত্যশিল্পীর খোঁজ পান। ধনঞ্জয়নের বড় ছেলে সঞ্জয় নিউইয়র্কের অগিলভি সংস্থায় কাজ করেন। আর সেই সংস্থাটিই ভোডাফোন ফোর-জি’র চিত্রনাট্য লেখার বরাত পেয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই ধনঞ্জয়ন দম্পতি’র কাছে প্রস্তাবটি আসে। যাঁরা নাচ যেমন ভালবাসেন, তেমনই দু’জন-দু’জনের প্রতিও অনুরক্তও। এবং পছন্দ করেন চুটিয়ে মজা করতেও।

তাঁদের কাছে প্রস্তাব দেওয়ার আগে বেশ চিন্তায় ছিলেন প্রকাশ বর্মা। আদৌ এই দুই ক্লাসিক্যাল ড্যান্সার বিজ্ঞাপনের জন্য অভিনয় করতে চাইবেন কিনা সেই নিয়ে চিন্তা ছিল। কিন্তু বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট শুনেই রাজি হয়ে যান তাঁরা। পুডিয়াভিত্তিল বলেন, “সেই ছোটবেলায় হাফ প্যান্ট পরেছিলাম। এই বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের জন্য আবার তা পরতে হল। অভিনয়ের অভিজ্ঞতা বেশ মজার।’’ ইতিমধ্যেই এই বিজ্ঞাপনগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।

দেখুন সেই নৃত্যশিল্পী দম্পতির নৃত্যশৈলী