লিটন হত্যা: ১০ দিনের রিমান্ডে কাদের খান

 

 

অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ আবদুল কাদের খানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরের দিকে রিমান্ডের এ আবেদন মঞ্জুর করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মইনুল হাসান ইউসুব।

এর আগে বুধবার সকালে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, লিটন হত্যার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ আবদুল কাদের খান। তিনি এক বছর ধরে এই হত্যার ‘পরিকল্পনা’ করেন।

ডিআইজি বলেন, লিটন হত্যায় অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন কাদের খানের গাড়িচালক আবদুল হান্নান, দুই গৃহকর্মী শাহিন মিয়া ও মেহেদী হাসান এবং তাদের সহযোগী রানা। প্রথম তিনজন গ্রেফতার আছেন। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। আর রানা পলাতক।

খন্দকার গোলাম ফারুকের দাবি, লিটন হত্যায় অংশ নেয়া ব্যক্তিদের এক বছর ধরে অর্থ ও নানান প্রলোভন দেন কাদের খান। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। ক্ষমতার পথ মসৃণ করতে লিটনকে হত্যা করা হয়।

মঙ্গলবার বগুড়া শহরের রহমাননগরের বাড়ি থেকে লিটন হত্যা মামলায় কাদের খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের আগে ছয় দিন তাকে ‘নজরবন্দী’ রাখা হয়েছিল। তার গ্রামের বাড়ি সুন্দরগঞ্জের ছাপারহাটি গ্রামে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের শাহাবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন এমপি লিটন। পরে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ আসনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে নির্বাচিত হন জাপা নেতা কাদের খান। সন্ত্রাসীদের গুলিতে এমপি লিটন নিহত হলে আসনটি শূন্য হয়। আগামী ২২ মার্চ এই আসনে অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে কাদের খান মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। কিন্তু এর আগের দিন ‘নজরবন্দী’ কাদের খান মনোনয়নপত্র দাখিল না করার ঘোষণা দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!