রোজা রাখার জন্য বেঁচে যায় বহু প্রাণ

 

 

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

ব্রিটেনের পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড থেকে বেঁচে গেছে বহু প্রাণ। ভবনটির আগুন নেভাতে এখনো কাজ করছেন দুই শতাধিক অগ্নিযোদ্ধা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ জানায়, রমজান মাস হওয়ায় ভবনের কিছু মুসলিম বাসিন্দা সেহরি খেতে উঠেছিলেন। সেই কারণেই অগ্নিকাণ্ডের খবর তারা আগেই জানতে পান।

রাশিদা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, রোজা পালনের উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে উঠায় তারা অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি আগে জানতে পারেন। তারাই ভবনের অন্য বাসিন্দাদের বিষয়টি অবহিত করেন। ফলে ভয়াবহ আকার ধারনের আগেই অনেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে সেহরির সময় শেষ হওয়ার অনেক আগেই ভবনটিতে আগুন লাগায় অনেকে তখনো ঘুমিয়েছিলেন।

‌‘এলাকাটিতে অনেক মুসলিম বাস করতেন। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় সবাই সবাইকে চিনতেন। ফলে অগ্নিকাণ্ডের খবরটি স্থানীয়দের মধ্যে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। মুসলিম বাসিন্দাদের কল্যাণেই ভবনে থাকা অধিকাংশ অমুসলিম নাগরিক বের হওয়ার সুযোগ পান। তবে ওয়েস্ট স্টেটের নঙ্কেস্টারের গ্রিনফল টাওয়ারে এখন বেশকিছু মানুষ ভেতরে আটকা পড়ে আছেন।

পশ্চিম লন্ডনের ২৭ তলাবিশিষ্ট টাওয়ারে সৃষ্ট আগুন নিভাতে কাজ করছেন ২ শত অগ্নিনির্বাপণকারী। তাদের সঙ্গে রয়েছে অগ্নিনির্বাপণের ৪০টি ইঞ্জিন। কিন্তু কোনো কিছুতে নিভছে না আগুন। আগুনের বলয় হয়ে জ্বলছে টাওয়ারটি। শুরুতে এর ভেতর থেকে কিছু বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হলেও বাকিরা ভেতরেই আটকা পড়ে আছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। কারণ মধ্যরাতে যখন অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয় তখন বেশির ভাগ মানুষ গভীর ঘুমে থাকার কথা। তাদের অবস্থা কি হয়েছে তা জানা যায়নি।

ভবনটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে খস পড়ছে। যেকোনো সময় এটি বিধ্বস্ত হতে পারে। ওয়েস্ট লন্ডনের ল্যাটিমার রোডের ভবনটিতে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টা ১৬ মিনিটে আগুন লাগে বলে জানায় পুলিশ।  ভবনটি ১৯৭৪ সালে তৈরি হয়। সম্প্রতি ভবনটির সংস্কার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!