স্বাগতম ২০১৮ঃ বিদায় ২০১৭

̄

 

 

স্বাগতম ২০১৮ঃ বিদায় ২০১৭
রণেশ মৈত্র

আমলে খৃষ্টীয় নববর্ষ ও বর্ষবিদায় বাঙালির জাতীয় জীবনে তেমন একটা আলোড়ন সৃষ্টি করে না। করার কথাও না তেমন একটা। কারণটা প্রধানত: হলো দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর শতকরা ৮০ ভাগ সম্ভবত: এখনও গ্রামীন। গ্রাম-বাংলার এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে, এমন কি ইংরেজরা থাকাকালেও, নতুন বছরের আগমন-নির্গমন সংক্রান্ত খবরটাই পৌঁছে না। অতীতে আরও পৌঁছাতো না। তদুপরি খৃষ্টীয় বছর হওয়াতে স্বভাবতই খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিবস দুটি গভীর তাৎপর্য বহন করায় তাঁরা ২৫ ডিসেম্বর বড় দিনের উৎসব পালন থেকে সুরু করে তা ৩১ ডিসেম্বর বর্ষ-বিদায় বা থার্টিফাস্ট নাইট এবং পরদিন পহেলা জানুয়ারী নববর্ষ বা নিউ ইয়ার্স ডে
ব্যাপকভাবে আনন্দে উৎসবে মেতে থাকেন।

কিন্তু বাংলাদেশে খৃষ্টান জনগোষ্ঠী সংখ্যায় এতই অল্প যে তা নেহায়েতই হাতে গোনা এবং খৃষ্টান পল্লী যে কয়টি এদেশে আছে তার সংখ্যাও খুবই কম হওয়াতে তাঁরা যে উৎসবাদি পালন করে থাকেন তা ব্যাপক বাঙালি জীবনে দৃশ্যমানতা অর্জনে সক্ষম হয় না। সে কারণে গ্রাম-জীবনে খৃষ্টীয় বর্ষ পূর্তি ও নববর্ষ ব্যাপকভাবেই অজানা দুটি দিন। বড় দিনও তাই।

তার পরেও দিবস দুটি বাঙালির নগর-জীবনে অনেকটাই স্থান করে নিয়েছে। ইংরেজ আমল থেকে ব্যাপক চর্চার এবং অভ্যাসবশত: আমরা তো বছরের ৩৬৫ দিনই তারিখ মনে রাখি খৃষ্টীয় বছরের। পহেলা বৈশাখ ছাড়া বাকী ৩৬৪ দিন বাংলা কোন মাস কবে সুরু হলো কবে শেষ হলো তাও আমরা কেউই বলতে পারি না-স্মরণেও রাখতে পারি না। কিন্তু ৩৬৫ দিনই যে মাস ও দৈনন্দিন তারিখগুলো মনে রেখে থাকি খুবই স্বাচ্ছন্দ-তা হলো খৃষ্টীয় বছরের। একেবারে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত।

তারিখ গণনা বা মনে রাখার ক্ষেত্রে গ্রামগুলিতেও বাংলা মাস ও বছরের চর্চা আদৌ নেই। গ্রামের মানুষও দিব্যি খৃষ্টীয় সাল, মাস ও তারিখ বলতে পারেন। বাংলা মাস কোনটা কতদিনের হবে তা অবশ্য সহজ করে দিয়েছে অনেকদিন আগেই বাংলা একাডেমী। এখন বাংলা বছরের প্রথম পাঁচ মাস ৩১ দিনে এবং পরবর্তী ৭ মাস ৩০ দিনে গণনা করা হয়। বাংলা ক্যালেন্ডারে তা ছাপা হয়-ছাপা হয় নিত্য দিনের সংবাদপত্রগুলিতেও। এতৎ সত্বেও বাংলা সন, মাস ও তারিখের কোন হদিস সমাজে আদৌ মেলে না। ফলে বাংলা সনের সংশোধনী কার্যত: নিরর্থক এবং তাৎপর্যহীন হয়ে পড়েছে।

যা হোক, ইংরেজদের ব ̈াপার, বিদেশেীদের ব ̈াপার, খৃষ্টানদের ব ̈াপার পধভ…তি যাই বলি না কেন গোটা পৃথিবীর সকল দেশের মানুষই খৃষ্টীয় বছরকেই নিজেদের বছর হিসেবে ধরে নিয়েছে। বড়দিনের ছুটিও পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই পালিত হয়। গোটা পৃথিবীর সংবাদপত্রগুলিও ডিসেম্বরের শেষ এবং জানুয়ারীর মাঝামাঝি পর্য ̈ন্ত বর্ষ বিদায় ও নববর্ষকে নানাবিধ খবর এবং প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশ করে থাকে। বাংলাদেশও এক্ষেত্রে কোন ব ̈তিμম নয় নিত ̈দিনের সংবাদপত্রগুলির পাতা ওল্টালেই দিবি ̈ আমরা তা দেখেতে পাই।

বর্ষ পরিকধমার অমোঘ নিমেশে তাই আমরা দিবি ̈ নতুন বছর ২০১৮ সালে ঢুকে পড়েছি। পেছনে ফেলে এলাম বহু ঘঁন-অঘটন-পটিয়সী ২০১৭ সালকে। তাই ২০১৭ কে জানাই বেদনা-মথিত বিদায়-২০১৮ সালকে নুতন সম্ভাবনবাময় এক বছর হিসেবে গণ ̈ করে গভীর আন্তরিকতার সাথে ̄^াগত জানাই।
২০১৮ সালে সম্ভাব ̈ সর্ববৃহৎ যে কর্ম যজ্ঞটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে আমাদের জাতীয় সংসদের নির্বাচন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনটি এ বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। গত ২০১৪ সালের নির্বাচনটি যেহেতু অতিমাত্রায় বিতর্কিত এবং প্রায় এক দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে-সেই হেতু এ বছরের নির্বাচনটিতে সকল রাজনৈতিক দলের সম্ভাব ̈ অংশগ্রহণের কারণে তা তীবধ প্রতিদ্বন্দিতামূলক হবে বলে সকলের মনেই আশা
জুগিয়েছে। আমরা আশা করবো , নির্বাচন কমিশন অত ̈ন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনটি পরিচালনা করে দেশবাসীকে তাঁদের প্রত ̈াশা অনুযায়ী একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবেন। আর তা বরতে গেলে নির্বাচনী আইন কানুন যা কিছু ঘাটতি আছে সেগুলি সময় থাকতে সংশোধন করে নেবেন।
আমার দেখা নির্বাচনগুলি নিয়ে পরবর্তীতে একটি নিবন্ধ লেখার ইচ্ছা রইলো। এখন শুধু এটুকুই বলে রাখি, নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক ও গ্রহনযোগ ̈ নির্বাচন উপহার দিতে হলে সরকার আমলাতন্দধ, রাজনৈতিক দলসমূহ বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বি.এন.পি এবং সংবাদ মাধ ̈মগুলিকে বিশেষ আগ্রহী ও উদে ̈াগী হতে হবে। প্রতা ̈াশা এই যে, গণ আকাংখ ̈া পূরণের লক্ষে ̈ সকলের পার ̄úারিক
সহযোগিতায় ২০১৮ সালের নির্বাচনটি গলদমূ৩, ত্রুটিমু৩ এবং সন্ত্রাশ ও সাম্পধদায়িকতা মু৩ হবে। কিন্তু তা প্রত ̈াশা মাত্র। পূরণ হবে কিনা তা ভবিষ ̈ত বলবে।
২০১৮ র কাছে মানুষের প্রত ̈াশা শুধু একটি সুন্দর নির্বাচনের মধে ̈ই সীমাবদ্ধ নয়। প্রত ̈াশা আরও অনেক। সেই প্রত ̈াশাগুলির শীর্ষে রয়েছে কোটি কোটি মানুষ যেন μমবর্ধমান নিত ̈প্রয়োজনীয় দধবে ̈র আকাশচুম্বি অব ̄’ান থেকে হ্রাস পায়-অন্ত: তার এক ত…তীয়াংশ মূলে ̈ যেন পণ ̈ দধব ̈ মানুষের কাছে পৌঁছায়। সেই ২০১৭ সালের সিলেটের (বৃহত্তম) হাওড় অঞ্চলে বন ̈ায় ফসল হানির সময় থেকে চালের দাম সারা দেশে যে ভাবে হু হু করে বাড়তে শুরু করলো-ক্ষমতাসীনদের নি ̄úৃহতায় সেই প্রμিায় আজও অব ̈াহত। প্রথমে চালের দাম বাড়া শুরু করলেও শীঘধই ঐ মূল ̈বৃদ্ধি প্রμিয়া তাবৎ সবজি, মসলা, পেঁয়াজ, দুধ, মাছ, মাংসের দামেও ছড়িয়ে পড়ে মধ ̈বিত্ত, নি¤œ ম ̈ধবিত্ত, ̄^ল্পবিত্ত ও বিত্তহীনদের জীবনে নাভি ̄^াস তুলে দেয় এবং তাদে কোন মহল থেকেই নাগামটেনে ধরার দৃশ ̈মান কোন চেষ্টাও সুরু না করায় অধ ̈াবধি তা দিবি ̈ অব ̈হিত আছে। বাজার করার আতংকে মানুষ এখন আদতেই দিশেহারা। অতিথি বৎসল বাঙালি পরিবারগুলি এখন অতিথি আসবে শুনলে ভে আতংকিত হয়ে পড়েন তাদের আগমনের ব ̈ারে অ১ে⁄৪র কথা ভেবে । তাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো পণ ̈মূল ̈ ব ̈াপকভাবে হ্রাস
করার প্রμিয়াটি।
বিদু ̈তের মূল ̈বৃদ্ধির সিন্ধান্ত আর একটি আতংক। সরকার উৎপাদন ব ̈য় না কমিয়ে, বিদু ̈ত চুরি বন্ধ না করে, অফিস আদালতে এসির ব ̈বহার হ্রাস না করে বোঝা চাপাচ্ছেন সাধারণ মানুষের কাঁধে। সে বোঝায় তাঁরা এতটাই ক্ষুব্ধ যে নতুন ভার বইবার শ৩ি-সামর্থ তাঁরা হারিয়ে ফেলেছেন।

সরকারের গর্বিত বিষয়টি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ হাতে নিয়ে বেশ কয়েকজন নেত…ত্ব ̄’ানীয় যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করে – শাি ̄Íর রায়ও কার্যকর করেছেন। কিন্তু সেই বিচার প্রμিয়া হঠাৎ ি ̄Íমিত হয়ে পড়ায় মানুষের মনে সন্দেহ সংশয় দানা বাঁধতে শুরু করেছে। দধুতই কি তা পুনরায় চালু হবে? সরকার বিষয়টি পরি ̄‹ার করুন। একজন যুদ্ধাপরাধীও যেন বিচারের আওতায়র বাইরে না থাকতে পারে-তা নিশ্চিত করা হোক।
প্রত ̈াশা এই যে বন্ধ ঘোষিত সকল সরকারী বেসরকারী মিলে অবিলম্বে উৎপাদন নতুন করে শুরু করা হোক। জীবিত শ্রমিক কর্মচারীদের অবিলম্বে কাজে যোগদান করতে বলে নিয়মিত বেতন-ভাতা প্রদান করা হোক।
যাঁরা মারা গেছেন-তাদের প্রাপ ̈ বেতন-ভাতা পরিবারের সদস ̈দেরকে অবিলম্বে পরিশোধ করে দেওয়ার ব ̈ব ̄’া হোক।
নতুন করে কতিপয় কল-কারখানা নানা ̄’ানে ̄’াপনের সরকারী-বেসরকারী বা যৌথ উদে ̈াগী সত্বর গ্রহণ করা হোক। রপ্তানী বৃদ্ধি আমদানি হ্রাস করার ও কধমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানোর লক্ষে ̈। এ ব ̈াপারে সুদূর প্রসারী কর্মসূচী না নিলে বেকার সংখ ̈া ও দারিদধ ̈ বাড়তেই থাকবে।
প্রত ̈াশা সকল ক্ষেত্রেই। ক…ষি উৎপাদন আজও প্রক…তি নির্ভর। ফলে নিয়ত উৎপাদন সংকট দৃশ ̈মান হচ্ছে। ক…ষি-বিজ্ঞানীরা যাতে নতুন নতুন গবেষনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রক…তি জীব উৎপাদন বছরের একই ক্ষেতে বহুবার বহু ফসল উৎপাদনের মত নতুন নতুন আবি ̄‹ার করুন। ক…ষি জমির পরিমাণ উদ্বেগজনকভাবে হ্রাস পেয়েই চলেছে-ভূমি মন্ত্রনালয়ের এ ব ̈াপারে অন্ধ ̈ ও যারা ক…ষিজমি নানাভাবে কিনে ভিন্ন কাজে ব ̈ব ̄’ার করছেন। সেই ধনীকে প্রতিতে লিপ্ত থাকার অবসান ঘটানো অপরিহার্য ̈। ২০১৮ তে তা ব ̈াপকভাবে শুরু হোক। ক…ষি, ক…ষক ও
দেশ বাঁচুক।
শিক্ষাক্ষেত্রে নানা আশংকায় জর্জরিত। মান সম্পন্ন শিক্ষা আজও দুরাশা। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অপ্রতুল। তাঁদের বেতন-এম.পি. ও ভূ৩ি কেন আটকে রাখা হয়েছে তাও দুর্বোধ ̈। শিক্ষকেরা অনশন ধর্মঘট করবেন দিনের পর দিন অভূ৩ থাকবেন শুধুমাত্র এম.পি.ও ভূ৩ির দাবীতে এটি জাতির জীবনে এক কলংকই লেপন করে দিল মাত্র যার জন ̈ সরকার শতভাগে দায়ী। অসংখ ̈ শিক্ষক অনশনে থেকে অশু ̄’ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ ̈
হয়েছেন-হাজার হাজহার শিক্ষ-শিক্ষিকা শীতের প্রাবল ̈সত্বেও খোলা আকাশের নীচে অনাহার-ক্লিষ্ট দেহে দিনরাত কাটাচ্ছেন-ভাবতেও বেদনার্ত বোধ করি সংহতি জানাই অনশনরাত শিক্ষকদের সাথে। আর অবাধ বি ̄§য়ে ভাবি আজকের ছাত্র-আন্দোলন কি এতটাই নির্বীয ̈ যে তাদের শিক্ষকদের এ অব ̄’াতেও তাদের মনে কোন μিয় প্রতিμিয়া নেই?
২০১৮ সরকারী জোটে এমন একটি বার্তা দিল জোট স১⁄২ীদেরকে। মন্ত্রীসভায় দলীয় প্রভাব আরও বাড়লো জোটস১⁄২ীদেরকে দুর্বলতর অব ̄’ানে ফেলে। ল২নটি দক্ষিণপন্থাদের কাছে উৎসাহব ̈ঞ্জক। বার্তাটি জানান দিল দধুতই নতুন শ৩িশালী প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট গঠনের বিকল্প নেই। বার্তাটি পৌঁছালো সবার কাছে আক ̄§াৎ জানুয়ারী ২ তারিখে। সবি ̄§য়ে জাতি তা প্রত ̈ক্ষ করেছে। কিন্তু প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শ৩িগুলি তবুও
কি ঐক ̈বদ্ধ হবেন সামনের দিনগুলির চ ̈ালেঞ্জ কার্য ̈করভাবে মোকাবিলা করতে?

২০১৮ নারী জীবনে কি প্রভাব ফেলবে? কমবে কি (বন্ধ হবে এমন আশা করি না) নারী ধর্ষন, নারী- নির্য ̈াতন, নারী অপহরণ? প্রয়োজনীয় জাতীয় জাগরণ এ প্রশ্নে আর কত বিশম্বিত হবে?

বিচারা১⁄২ন ২০১৭ তে নানা প্রশ্নে বিদ্ধ হয়েছে । সচেতন মানুষের। শংকিত। বিচার বিভাগের ̄^াধীনতার আকাংখ ̈া আর কতকাল অপূর্ণ থাকবে-কতকাল লাগবে বিচার বিভাগের মাথা তুলে দাঁড়াতে? একটু নড়াবড়া করতেই প্রচন্ড আঘাত নেমে এসেছে সত ̈ কিন্তু তবুও মু৩িযুদ্ধের চেতনাকে ব ̈র্থ হতে দেওয়া যাবে না। বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ ̄^াধীনতা অপরিহার্য ̈। দলীকরণ থেকেও বিভাগটিকে বাঁচাতে হবে বৃহত্তর জাতীয় ̄^ার্থে। পারবে কি ২০১৮ এ ব ̈াপারে গণ-আকাংখ ̈া পূরণ করতে?

বিদায় ২১০৭

সাড়ম্বরেও নয়-চোখের জলেও নয়। অনেকটা রুটিনের মতই বিদায় নিল ২০১৭ বাঙালির জীবন থেকে। অতীতের বহমান র৩ে ̄ধাতে এই বছরটিও রঞ্জিত হয়েছে। সাম্পধদায়িকতা সারাটি বছর ধরেই ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ ̈ালঘুদেরকে বারংবার আঘাত হেনেছে। সর্বশেষ রংপুরের গ্রামে এই তো সেদিন হিন্দু-ঘরে জন্ম নেওয়া এক নির্দোষ ছেলেকে চড়ংঃ ফেসবুকে দিয়ে ইসলামের ও নবীর অবমাননার মিথ ̈া অভিােগে তাদের বাড়ীঘর সহ
প্রতিবেশী হিন্দুদের বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দিয়ে লুটপাট করার ঘটনাও ঘটেছে। বছর জুড়েই নানা ̄’ানে প্রতিমা ভাংচুর, মন্দির আগুন, বাড়ীঘর, ফসলী জমি দখল করে হিন্দু-বিতাড়ন বি ̄Íর ঘটেছে। কিন্তু তার প্রতিবিধানের আদৌ কোন ব ̈ব ̄’া নেই বা অপরাধীদের বিন্দুমাত্র শাি ̄Í দানের কোন উদে ̈াগও নেই। এভাবেই কাটলো সারাটি বছর।
২০১৭ সাল প্রাক…তিক দুর্যোগের বছরও বটে। বন ̈া-বৃষ্টির প্রাবল ̈, ব ̈াপক ফসলহানি সব মিলিয়ে ক…ষি, ক…ষক ও ভো৩া জীবন ছিল বিপর্য ̄Í।
দুর্নীতিতে, বিশেষ করে ব ̈াংকিং সেক্টরে, সম্ভবত: এ বছরে বাংলাদেশ বিশ্বে চ ̈াম্পিয়ান হওয়ার দাবী রাখে। হাজার হাজার কোটি টাকা উধাও, লুটপাট, বিদেশে পাচারের মহোৎসবের বছর ২০১৭। বি ̄§য়ের ব ̈াপার, ব ̈াংকিং এ দলীয় করণের ফল এতই ভয়াবহ যে কারও গায়ে বিন্দুমাত্র আইনের আঁচরড়ও লাগতে দেখা যাচ্ছে-যা বিশ্বের কোথাও দেখা যাবে না। অপরাপর ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রাবল ̈ বি ̄Íর। দুদক যথারীতি চুনোপুঁটির গায়ে আঘাত হেনেছে-রাঘব-বোয়ালরা দিবি ̈ নিরাপদে থেকে গেল বরাবরের মতই।
এহেন বছরের বিদায় কাউকে বেদনার্ত করে না-আনন্দিত হবারও কারণ দেখি না।

তবে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে পুলিশি কড়াকড়িরও যৌ৩িকতা নেই। তরুণ-তরুনীরা আনন্দে মাতবে তাতো আইন সিদ্ধই বটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!