২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ কাজী অনিক

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

যুব বিশ্বকাপে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বল করে বেশ হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশি তরুণ পেসার কাজী অনিক ইসলাম। পরে জানা যায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটা ভুলে দেখানো হয়েছিল। তবে বেশ সম্ভাবনা নিয়েই ক্রিকেট অঙ্গনে এসেছিলেন এ তরুণ। কিন্তু নিষিদ্ধ বস্তু সেবনের কারণে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় অনিককে শাস্তি দিয়েছে বিসিবি। রোববার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বিসিবি। তার শরীরে মেথামফেটামিন নামক এক ধরনের ওষুধের উপস্থিতি ধরা পড়ে। বিসিবির অনুচ্ছেদ ৮.৩ নম্বর ধারা ভঙ্গ করায় এ শাস্তি পান অনিক। আর নিজেও দোষ স্বীকার করে এ শাস্তি মেনে নিয়েছেন এ তরুণ। ফলে কোনো ধরণের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।

২০১৮ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগ খেলাকালীন সময়ে ডোপ পাপের এ ঘটনাটি ঘটান অনিক। কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা মেট্টোর হয়ে খেলা তরুণ এ পেসারকে ম্যাচের পরে (৬ নভেম্বর) ডোপ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে বলা হয়। পরে পরীক্ষা শেষে সে বছরের ২০ ডিসেম্বর তার শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধের প্রবল উপস্থিতির কথা জানতে পারে বিসিবি। আর নিজের দোষ স্বীকারও করে নেন অনিক।

২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অনিকের ‍উপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি খেলায় ফিরতে পারবেন ২০১৮ যুব বিশ্বকাপ খেলা এ তরুণ।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবশেষ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটে তার ছিল। কিন্তু শুরু ঠিক আগে তার নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তাৎক্ষনিকভাবে কিছু জানান না গেলেও পরে জানা যায় ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার কারণেই তাকে বাদ দেওয়া হয়।

এখন পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ৪টি ম্যাচ খেলেছেন অনিক। এছাড়া ২৬টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ ও ৯টি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলেছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২০১৯ সালে খেলেছেন মোহামেডানের হয়ে। বিপিএলে রাজশাহী কিংস, চিটাগং ভাইকিংস ও ঢাকা ডায়নামাইটসের জার্সিতে খেলেছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!