তীব্র দাবদাহে এসিতে স্বস্তি

গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ। একদিকে তীব্র গরম, তার সাথে যুক্ত হয়েছে করোনাভাইরাসের তাণ্ডবলীলা। জনজীবনে ভোগান্তি যেন চরমে উঠেছে। ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর দেশ হওয়ায় বাংলাদেশে বছরের বেশিরভাগ সময় উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া বিরাজ করে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে আবহাওয়া আরও বেগতিক হয়ে পড়েছে। গত মাসেই সাত বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অসহনীয় গরম থেকে রেহাই পেতে প্রতি গ্রীষ্মেই বেড়ে যায় এসির চাহিদা।

সারাদিন বাইরে গরমে হাঁসফাঁসের পর ঘরে ফিরে একটু শান্তির শীতলতা কে না চায়! তাই, এক সময় যে এসি ছিল বিলাসপণ্যের তালিকায়, এখন তা হয়ে গেছে প্রয়োজনীয়তা। ঘরে কিংবা অফিসে আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে লাগানো হচ্ছে এসি। কিন্তু এসি কেনার কথা উঠলেই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মানুষকে দ্বিধায় পড়তে দেখা যায়। প্রথম চিন্তা হচ্ছে এসির দাম এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। অনেকেই মনে করেন, এসি রক্ষণাবেক্ষণ বেশ ঝামেলাপূর্ণ ও কঠিন এবং তারা কেনার পর এর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবেন না। আবার আরেকটি ধারণা হচ্ছে, এসি চালালে বিদ্যুৎ বিল কয়েক গুণ বেশি আসে। অথচ বাস্তবে বিষয়গুলো বেশ ভিন্ন। মূলত, এসি কেনার আগে এসি সম্পর্কে একটু ধারণা রাখলে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয় না।

ব্র্যান্ড ছাড়াও এসির দাম অনেকটা নির্ভর করে এসির ক্ষমতার উপর। বাজারে ‘টন’ হিসেবে এসি পাওয়া যায় এবং যে ঘরে এসি লাগানো হবে তার আয়তনের উপর নির্ভর করে এসি কিনতে হয়। এসির ক্ষমতা যাচাইয়ের পরেই আসে স্প্লিট নাকি উইন্ডো এসি ভালো হবে সে প্রশ্ন। উইন্ডো এসিতে আওয়াজ বেশি হয় বলে স্প্লিট এসিই সাধারণত সবার প্রথম পছন্দ। এছাড়া, স্প্লিট এসিতে ঘর বেশ দ্রুত ঠান্ডাও হয়।

এসি নিয়ে সবচেয়ে বড় চিন্তা বিদ্যুৎ খরচ। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে প্রযুক্তি খাতে শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড স্যামসাং নিয়ে এসেছে বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল ইনভার্টারযুক্ত ৮ পোল স্প্লিট এসি, যা একইসাথে এসির অবাঞ্চিত আওয়াজ হ্রাস করে। আধুনিক ডিজাইনের স্যামসাং এসি আপনার ঘরের শোভা যেমন বাড়াবে, এর মজবুত যন্ত্রাংশের ফলে টেকসইতা নিয়েও আপনাকে চিন্তায় পড়তে হবেনা। রুমের আকার ও বাজেটের বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ক্রেতারা তাদের পছন্দানুযায়ী এক থেকে দুই টনের এসি কিনতে পারবেন। এছাড়া, এসির মাধ্যমে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া ছড়াবে ভেবে যারা ভীত হন, তাদের সংশয় দূর করতে এই এসিগুলোতে রয়েছে অটো ক্লিন সুবিধা। এসি বন্ধ করার পর এই অটো ক্লিন ফাংশন চালু হয়ে এসিতে জমে থাকা ধূলিকণা পরিষ্কার করে জীবাণুর বংশবিস্তার রোধ করে। এছাড়া, স্যামসাং এসির ইজি ফিল্টার প্লাস ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া হ্রাসে সহায়তা করে এবং এটি খুব সহজেই খোলা ও পরিষ্কার করা যায়।

ডিজিটাল ইনভার্টারযুক্ত এসিগুলোতে থাকছে ১ বছরের সার্ভিস ওয়্যারেন্টি, ১০ বছরের কম্প্রেশার ও ১ বছরের পার্টস ওয়্যারেন্টি। এসি কেনার ক্ষেত্রে বাসা এবং অফিসে বিনামূল্যে ডেলিভারি ও ইন্সটলেশন সুবিধা দিচ্ছে স্যামসাং। ১২ শতাংশ তাৎক্ষণিক ক্যাশব্যাকে এসিগুলো পাওয়া যাবে ৬৭,৯০০ টাকা থেকে ৯৮,৪০০ টাকার মধ্যে। এক্ষেত্রে রয়েছে ছয় মাস পর্যন্ত ইএমআই সুবিধা। আগ্রহী ক্রেতারা স্যামসাং এসি যেকোন স্যামসাং শোরুম অথবা অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!