ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের স্বার্থে ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আইবিএফবি ও বিইআই’র ওয়েবিনার

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) এবং বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) যৌথ উদ্যোগে ‘ইউএন ড্রাফট রেজ্যুলেশন অন বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ শীর্ষক ওয়েবিনার আয়োজন করেছে। ওয়েবিনারটি গতকাল জুমে অনুষ্ঠিত হয়। ওয়েবিনারটিতে রামপাল পাওয়ার স্টেশন ও রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের মতো বড় প্রকল্পের পরিবেশগত দুর্যোগ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করা বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সেমিনারে চেয়ারপারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইবিএফবি’র সভাপতি এবং এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশীদ। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী অ্যডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, আইনি অর্থনীতিবিদ ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) সহ-সভাপতি এম.এস সিদ্দীকি। ওয়েবিনারটিতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিইআই’র সভাপতি রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির এবং সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইআই’র বিশিষ্ট ফেলো ফারুক সোবহান।

ব্যবসা ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন নিয়ে মূলত ওয়েবিনারে আলোচনা করা হয়া হয়। প্রত্যেক ব্যবসায়েরই মানুষ ও আশেপাশের পরিবেশের ওপর হয় প্রত্যক্ষ, না হয় পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। তাই, মানবাধিকার ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রত্যকে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। ওপরে উল্লিখিত সঙ্কট এড়াতে নির্দিষ্ট আচরণবিধি তৈরিতে এর আগে উন্নয়নশীল অনেক দেশ উন্নত দেশের সাথে চুক্তির চেষ্টা করেছে। কিন্তু ব্যবসা ও মানুষের স্বার্থ রক্ষার্থে ভারসাম্য নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সে প্রচেষ্টা কোনো ফল নিয়ে আসেনি। যেসব বিদেশি প্রতিষ্ঠান দেশে একাধিক মেগা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে, ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারীরা এসব প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং উন্নত অবকাঠামো অবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে সবার নিরাপত্তায় স্বাস্থ্য প্রটোকোলের দাবি করেন।

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘দেশের আইনের দ্বারা যথাযথ অনুমোদন প্রক্রিয়ার আগে বড় ধরণের নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক সরঞ্জাম সরাসরি বাংলাদেশে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া উচিৎ নয়।’ অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশগত অবস্থায় অবনমনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘একই প্রতিষ্ঠান একইভাবে চীন ও জাপানে কাজ করতে পারবে না, যেভাবে তারা বাংলাদেশে করছে। এ ধরণের অনুশীলন আশু শণাক্ত হওয়া প্রয়োজন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!