দিনাজপুরে খুন হলেন তেঁতুলিয়ার মেয়ে মুন্নি

নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি  । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ছোট বোনের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী আব্দুল্লাহ শুভর (২৫) অস্ত্রের অাঘাতে বড় শ্যালিকা মর্জিনা খাতুন মুন্নী (২২) খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেট বোন ফাতেমা খাতুন সোনিয়া (১৮) আহত হন। আটককৃত ঘাতক শুভর বাড়ি কুমিল্লা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুন্নী উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মচারী আমিনুর রশীদ বকুলের স্ত্রী। নিহত মুন্নীর স্বশুরবাড়ী কুড়িগ্রামের উলিপুর গ্রামের আর মুন্নি ও সোনিয়ার বাবার বাড়ী পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সাহেব জোত গ্রামে।

প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৬ সাল হতে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মচারী আমিনুর রশীদ বকুল চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদ চত্বরের পার্শ্বে নির্বাচন অফিসের পিছনে অবসর প্রাপ্ত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা তাজিম উদ্দীনের বাসায় ভাড়া থাকতো। ঘটনার দিন অফিসে কাজকর্ম করা অবস্থায় শুনতে পায় তার বাসায় কে বা কারা হামলা চালাচ্ছে। দ্রুত অফিস থেকে বাসায় গিয়ে দেখে তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন মুন্নী (২২) ও তার শ্যালিকা ফাতেমা খাতুন সোনিয়া (১৮) রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ঘরের মেঝে পড়ে আছে। স্থানীয় জনতার সহায়তায় মুন্নী ও সোনিয়াকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মর্তুজা আল মামুন মুন্নীকে মৃত বলে ঘোষনা করে ও গুরুতর আহত সোনিয়াকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে।

আরো জানা যায়, গত দু’মাস আগে ফাতেমা খাতুন সোনিয়ার সাথে ঘাতক আব্দুল্লাহ শুভর ফেসবুক সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়। এবং বিয়ের পর সোনিয়া শশুর বাড়ী কুমিল্লায় গেলে শুভর পূর্বের স্ত্রী ও সন্তান থাকায় শুভকে তালাক দেয়ি চলে আসে। ঘটনার কয়েকদিন আগে সে দিনাজপুর চিরিরবন্দরে বোনের বাসায় বেড়াতে আসে। ঘটনার বিষয়ে এলাকাবাসীর অনেকে জানায়, দুপুরে ওই বাসায় তিন যুবককে প্রবেশ করতে দেখে কিছুক্ষন পর বাড়ী হতে চিৎকার ভেসে আসলে প্রতিবেশীরা বাসায় ঢুকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে ও ঘাতকদের আটকের চেষ্টা করে।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারেসুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় আমিনুর রশীদ বকুলের বাড়িতে আব্দুল্লাহ শুভ ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী ও তার শ্যালিকাকে আঘাত করেন। এসময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে গেলে শুভ পালিয়ে যান। আহত দুই বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বড় বোন মুন্নীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক আব্দুল্লাহ শুভকে অাটক করে। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।


কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!