পরিচিত পৃথিবীর অপরিচিত রূপ

পরিচিত পৃথিবীর অপরিচিত রূপ
(অন্ধের কিবা রাত্রি-কিবা দিন)
ডা. আওলাদ হোসেন

পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করার পৃথিবীতে মৃত্যুবরণ তারপর পুনরুত্থান অনেকেই বিশ্বাস করে অনেকেই করে না কারণ গৃহের মালিক গৃহে অবস্থান করেন না। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনীয় সব কিছু দেয়া আছে। ফলে মানুষ মনে করে পৃথিবীর পরে আর কিছু নেই। অনূর্ণাঙ্গ পৃথিবীর ভৌগলিক অবস্থান কোন ক্রমেই পূর্ণাঙ্গরূপ পেতে পারে না। রাত্রি দিন, চন্দ্র সূর্য, জন্ম মৃত্যু এমন একটি অজানার সন্ধান দেয় যেখানে রাত্রি দিন নেই পৃথিবী ঘুরে না, জন্ম মৃত্যু নেই এবং এ সকলের মালিক উপস্থিত প্রমান যা ঘুরে তা একদিন থেমে যাবে, যা অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ তা ছিঁড়ে যাবে, ভরসা অবিশ্বাস আর এই বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচালে তৃতীয় পক্ষ অঘটন ঘটিয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভাজন কে চায়? এক শক্তি অপর শক্তির পিছনে লেগেই আছে। বিভিন্ন উপাদান এর পিছনে কাজ করছে। একটি পৃথিবী জোড়া ভূমিকম্প এর সমাধান হতে পারে কিন্তু এর মালিক মানুষ নয়। হবে নিশ্চিত কিন্তু কবে? পরাশক্তিরা এসব নিয়ে ভাবে না, তারা কার কত শক্তি প্রদর্শনেই ব্যস্ত। অর্ধেক পৃথিবীতে অর্ধেক জন্ম এটাই স্বাভাবিক যে শক্তি পৃথিবীসহ সব কিছুকে ঘুরাচ্ছে সেই অংশ স্থায়ী, অনন্ত আকাশ কোথাও থেমে যায়নি, মিলে বা মিশে যায়নি, অতএব অসমাপ্ত চিন্তা ভাবনা রেখে কে বড় শক্তিধর হিসেবে শেষে মানুষ কারও কর্তৃত্ব মেনে নেয়না সেই নিজেকে স্বাধীন মনে করে। রোজগারের জন্য মোসাহেবী করে কিন্তু সেও স্বাধীন। এটাকে বলা হয় ব্যক্তি স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতাটুকু আল্লাহ পাকের দেয়া অপর অংশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সে এক অনন্ত জীবন। বর্তমান পৃথিবী পরবর্তী পৃথিবীর জন্য রেখে দেয়া হয়েছে একটি পরিচিত অপরটি অপরিচিত।

বাংলাদেশের কলামিষ্টঃ রাজধানীর কলামিস্টদের সংখ্যা হাতে গোনা। তাদের লেখায় পথ নির্দেশক তীর্যক লেখনী বাংলাদেশের অধিবাসীরা জুমআ এর নামাজ পড়ে ঠিকই কিন্তু মানুষ বিভিন্ন বিম্বাস নিয়ে বাস করে। ফলে তাদের বিশ্বাসের মূলে কি কাজ করে তা বলতে পারছি না। কার্যক্ষেত্রে জুমআর নামাজের সামান্যতম প্রতিফলন ও দেখা যায় না। ব্যক্তি পর্যায়ে নামাজ পড়েন দেখে বুঝা যায় অর্থাৎ আল্লাহকে ভয় পান কিন্তু ঈমান, ধৈর্য, সততা, শূন্যের কোঠায়। এর কারণ বাঙালিরা আমার চাইতে ভাল জানেন এবং সুযোগ সন্ধানী। পত্র পত্রিকায় কলামিস্টগণ সারাক্ষণ লিখে থাকেন, তাদের সাহস আছে আর যা লিখেন দলবাজরা তার কোন মূল্যায়ন করে না, বড়জোর বলে থাকে আপনার বয়স হয়েছে, আপনি বুঝবেন না। ধর্মীয় নেতারা বিরাট একটি অংশ কিন্তু তারা একে অপরের শত্র“। পীর সাহেবরা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছেন। কলামিস্টরা সাংবাদিক নন, মিডিয়ার সংগে জড়িত। রাজারাজরাদের ভ্রান্তি বিলাস অথবা বাংলাদেশের ভোটে ভারত ২টি লেখা বাঙালিকে শিক্ষা দেয়ার জন্য যথেষ্ট মনে করি তবে পার্থক্য আমি আল্লাহর আয়াতকে উদ্বৃত করাই প্রকৃত জ্ঞানের উৎস এবং সন্ধান বলে মনে করি যেমন-রাব্বানা মা খালাকতা হাযা বাতিলা অথবা ওয়ামা তাশউলা ইল্লা আইয়াশাল্লাহ।

মাথার উপরে বিরাট আকাশ সদা মেঘের ভেলা উড়ে বেড়াচ্ছে ধীরলয়ে। স্বচ্ছ আকাশের ঐ পাড়ে কি আছে? প্রচন্ড একটা আঘাত প্রতিটি মানুষের জীবনে অপেক্ষা করছে আর সেইটাই অপর পৃথিবী যা আমরা অস্বীকার করে বসে আছি। নবীদের আমলে তারা সীমালংঘন করেছে আল্লাহ বলেছেন খেলাচ্ছলে এই পৃথিবী বানাইনি। বিরাট আকাশটি কি প্রমাণ করে না যে আল্লাহ কত বড়, অদৃশ্য, মানুষ সে তুলনায় কতটুকু? মাটির পৃথিবীর সংগে শূন্যে আকাশের সংগে সংযোগ স্থাপনের একটি মাত্র পথই খোলা আছে তা হচ্ছে সুললিত কণ্ঠে অনর্গল পাঠ করে যাওয়া আল-কুরআনের আয়াত সমূহ যা আল্লাহর বানী, কোন মানুষের পক্ষে রচনা করা সম্ভব নয় কারণ হাজার হাজার বৎসর পূর্বের ইতিহাস, বিজ্ঞান ভিত্তিক সৃষ্টির জ্ঞান, যা একমাত্র স্রষ্টার পক্ষেই সম্ভব বলে দাবী করা হয়েছে হা-মীম, তানজিলুল কিতাবি মিনাল্লাহিল আজিজুল হাকীম সম্পূর্ণ বই মুখস্ত রাখা যায়, অলৌকিক, আরবের লোকদের জন্যে ছিল প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ যাতে কোন সন্দেহ নেই… গায়েবে বিশ্বাসী! আল-কুরআনের আয়াত থেকে সৃষ্টি সম্বন্ধে কিছু উদ্বৃতি দেয়া হলঃ- হে মানুষ! তোমরা যদি পুনররুত্থান সম্বন্ধে সন্দেহের মধ্যে থাক তবে ভেবে দেখ, আমিতো তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি, তার পর শুত্র থেকে তার পর এমন কিছু থেকে যা লেগে থাকে তারপর মাংসপিন্ড থেকে যা পূর্ণাকৃতি অথবা অপূর্ণাকৃতি বিশিস্ট হয়ে থাকে, প্রকাশ করার জন্য। আর আমি গর্ভাধারে স্থিতি রাখি যা ইচ্ছে করি এক নির্ধিষ্টকাল পর্যন্ত তার পর আমি তোমাদেরকে শিশুর আকারে মাতৃগর্ভ থেকে বের করি, অত:পর যেন তোমরা যৌবনে উপনীতি হও। আর তোমাদের মধ্যে কতক এমন আছে যাদেরকে যৌবনের পূর্বেই মৃত্যু প্রাপ্ত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কতক এমনও আছে যাদেরকে পৌঁছানো হয় অকর্মন্য বয়স পর্যন্ত ফলে যে বিষয়ে তার জানা ছিল, তা সে মনে রাখতে পারে না। তুমি জমিন কে দেখতে পাও শুক্ক, তারপর যখন আমি তাতে পানি বর্ষণ করি তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে আন্দেলিত হয় এবং নানা রকমের নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উৎপন্ন করে। ……. এবং কবরে যা আছে তাদেরকে আল্লাহ নিশ্চিয় পূনরায় জীবিত করে উঠাবেন-সুরা আল-হাজ্বু ৫-৭। সৃষ্টি তত্ত্ব-মানুষ-দেহ ক্রমানুসারে- ব্রেইন Spinal Cord-Pharynx- Larynx-Windpipe-Lug- Heart- Capillaries- Liver- Bileduct- Stomach-Kidney-Galbladder-Spleen-Pancreas- Duodenum-Large, intestine- Small intestime-appendix-bladder- rectum- anus.

Cranium-Mandible-Clavicle- Scapula-Sternum-humerus-rids- radius- ulna- illium-sacrum-Pubis- carpals-metacarpals- Phalanges- Ischlum- femur-patella-Tibia-Fibula-Tarsals- Metatersals- Phalanges- Spine-Pelvic gridle- bones-medula- nephron-সূর্য আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে আনুমানিক ২৪-২৬ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এবং কেন্দ্রর চার দিকে ২২.৫ থেকে ২৫ কোটি বছরে একবার ঘুরে আসে। দূরত্ব ৯ কোটি ৩০ লক্ষমাঈল ১ নভো একক। সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে আসতে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড। স্রষ্টা সৃস্টির মধ্যে দিয়ে তার প্রকাশ করে থাকেন। যেমন সূর্য পৃথিবীকে রক্ষা করে থাকে। বিভিন্ন গাছ গাছরা অনেক বৈচিত্র প্রকাশ করে থাকে। ফলে পরিচিত পৃথিবীর অপরিচিত রূপ পূর্ণাঙ্গতা লাভ করে অর্ধেক পৃথিবী থেকে মৃত্যুর পর অপরিচিত বাকী অর্ধেক পৃথিবীতে পদার্পন মাত্র। যা পুনরুত্থান ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!