পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব ও পরিপূর্ণতা

পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব ও পরিপূর্ণতা
Complete Circle of life
আওলাদ হোসেন
টাঙ্গাইল।
মোবাঃ ০১৭৪৩-২১৯৯৯৮

মানুষের জীবনে পরিপূর্ণতা যে পৃথিবীতে নেই তা আমরা সহজেই বুঝতে পারি। বিজ্ঞান ভিত্তিক জীবন যাত্রা জীবনের অর্ধেক প্রকাশ করে থাকে বাকি অর্ধেক ধর্ম গ্রন্থের আশ্রয় নিতে হয় অর্থাৎ দৃশ্যমান পৃথিবী অর্ধেক অপর অর্ধেক মানুষের দৃশ্যমান জ্ঞানের বাহিরে যা স্রষ্টার কাজ। মানুষ বিজ্ঞান নির্ভর। অথচ বিজ্ঞান শুধু চলমান এবং অনুভবযোগ্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। উপরন্ত— আমাদের আবির্ভাব এবং তিরোধীন যে সংকেত দিয়ে থাকে তা বুঝতে হলে গভীর জ্ঞান এবং সাধনার প্রয়োজন যা সাধারণ মানুষকে দেয়া হয়নি, পৃথিবীর সব কিছুই নিয়ন্ত্রিত। কেউ ইচ্ছেমত কিছু করতে পারে না। পদে পদে নিয়ম আর বাধা। জীবন শেষে আর কিছু নেই, পৃথিবীতে আসার পূর্বে কিছু ছিলনা এমনটি ভাবা জীবনের জন্য যথেষ্ট নয়। সূর্য্য আসলে কত বড় তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা, কিন্তু যদি কোন সময় আসে যখন আমাদের জ্ঞানে ধরা দিবে আসলে সূর্য কত বড়, কোথায় অবস্থান, কি কাজে লাগে ইত্যাদি। পৃথিবীও তেমন, চন্দ্রও তেমন। গাছ-পালার বৃদ্ধি অথবা পশু-পাখির জীবনধারা কেমন যদি বুঝতে পারা যায় তখন কেমন হবে? রহস্যময় সবকিছু যদি ধরা দেয় তাহলে কেমন হবে? যেহেতু মানুষ মরে যায় অতএব মানুষই কনভার্ট হয় পরকালে মানুষের কাজ কি হবে কোন ভয় ভীতি থাকবে না, পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে থাকবে। দৈহিক পরিবর্তন কি হবে, মানসিক পরিবর্তন কি হবে? মাটির মানুষ থাকবে কিনা এখানে উত্তর হবে-অমা উতিতুম মিনাল ইলমে ইল্লা কালিলা। পৃথিবীতে যেমন আল্লাহ সম্বন্ধে বলা হয়েছে, আল্লাহ এক, জন্ম দেন নাই, জন্ম নেন নাই, কেউই তার সমতুল্য নয়। মানুষ সৃষ্টিটি অত্যন্ত কৌশলের ব্যাপার, উপাদান সমূহ প্রাপ্তি এবং তার সেটিং কোন বিজ্ঞানী চিন্তাও করতে পারে না। কিভাবে দুই অংশ চাকতির মাধ্যমে জোড়া দেয়া সম্ভব হলো। কি দিয়ে বাঁধন দেওয়া হলো আর কিভাবে সেই চাকতির কোন কোন ক্ষেত্রে শক্ত হয়ে যায় আর কোন কোন ফ্লেক্সিবল হয়ে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবই সমতা বিধান করে চলতেই জীবন যায় বিবর্তন হওয়ার সময় পায় কোথায়? অপর দিকটি হচ্ছে পৃথিবী নিজের অক্ষপথে একবার ঘোরে এবং সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের চতুর্দিকে ঘোরে ফলে তা বিবর্তন বাদের সুযোগ গ্রহণ করতে পারেনা, ছুটে গিয়ে অপরের ক্ষেত নষ্ট করতে পারে না, তার পর কত কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টি করা হয়েছে যে, তা গুনতে গুনতে কামসারা, মিল্কিওয়ে যে কত কোটি কোটি আলোকবর্ষের দূরত্বে অবস্থিত তার ব্যাপকতা মাথায় ঢুকানো বা কল্পনা করাওতো অসম্ভব। অসমাপ্ত বা অর্ধসমাপ্ত বিদ্যা দিয়ে সত্যকে যাচাই করতে যাওয়া আর অন্ধকারে হাবু-ডুবু খাওয়া ছোট্ট শিশুর মতো একই কথা। ছোট্টশিশুরা তারাইবা কি জানে, কে ছোট্ট শিশু? একটা কথা বলা হয়ে থাকে যে, পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা সবই স্যাম্পল বা নমুনা স্বরূপ এবং অবশ্যই ক্ষণস্থায়ী এবং অপশ্রীয়মান। কিন্তু পরবর্তী জীবনে সবই স্থায়ী অর্থাৎ এখানে যা হয় তা কুমারের ঘুর্ণায়মান চাকার মতো যা দিয়ে মাটির পাত্র তৈরী করা হয়। যা আল্লাহপাক সৃষ্টির সব কিছুকে ঘুর্ণায়মান করে রেখেছেন। (কুল্লু ফি ফালাকিই ইয়াসবাহুন)। পরকালে এ ঘুর্ণায়মান অবস্থা থেকে যদি স্থায়ী আসন পাওয়া যায় অথবা আমরা আনন্দের সাথে চরকির মতো চিরকাল স্রষ্টাকে প্রদক্ষিণ করতে থাকবো এবং এই সময়ের মধ্যেই আমরা দৈনন্দিন জীবন চালিয়ে যাবো। তবে দেহটির ফাংশন মাটির পৃথিবীর মতো না হয়ে বরং অন্য কিচু হবে যে খানে ক্ষণস্থায়ী জীবনের লেশ মাত্র থাকবে না, ক্ষয়ীষ্ণু কিছু হবে না অর্থাৎ নাই বা ফুরিয়ে গেল বা কম পড়লো ইত্যাদি। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে “সেখানে আছে নির্মল পানির নহর, আছে দুধের নহর….. শরাবের নহর, আছে পরিশোধিত স্বচ্ছ মধুর নহর………. (৪৭:২:১৫)। অনুরূপভাবে পৃথিবী যেমন মাটির তৈরী অন্য সবকিছু মানুষসহ মাটির তৈরী তার বৈশিষ্ট্য সবই মাটির মতো ভঙ্গুর, দুর্বল কিন্তু যে আত্মা বা রূহ আল্লাহ পাক ফুঁকে দিয়েছেন তার অবস্থা মাটির মতো নাও হতে পারে বরং আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উপযুক্ত করে গড়া। এখন পরবর্তী পৃথিবী যদি স্বর্ণের তৈরী হয়, রৌপ্যের তৈরী হয় অথবা হিরা যহরত মূল্যবান পদার্থের তৈরী হয় তখন দেহের যে পরিবর্তন ঘটবে তার বর্ণনা ঠিক সেই সময়েই প্রযোজ্য হবে বলেই হয়তো আকারে ইঙ্গিতে কিছুটা উল্লেখ করা হয়েছে। পুনরায় প্রমাণ করতে হচ্ছে মানুষ স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ একটি নিদর্শন এজন্য এনাটমী এবং ফিজিওলজির বিদ্যাকে কাজে লাগাতে হবে। মানুষের রূপান্তর কি যা ডারউইন বুঝাতে চেয়েছেন। অথচ বাহ্যিক দৃষ্টিতে মানুষ বলতে দুনিয়ার সকল মানুষকে বুঝায় এবং দেখায়। কিন্তু আসলে একটি মানুষের সঙ্গে অপর একটি মানুষের মিল নেই যেমন মাইন্ড, একজনের মন অপর জনের মনের সাথে কোন মিল নেই কোনভাবেই নেই। তার পরও দেহের গঠনের প্রক্রিয়া যে কত সূক্ষ্ম তা সহজেই প্রমাণ করে দেয়া যায়। যৌনাঙ্গ (Sexual Organ) পুরুষ ও মহিলা সম্পূর্ণ বিপরীত। তার পর (Male Reproductive System) এ দেখা যায় যে বির্য দেহে উৎপাদন হয়ে থাকে তাতে কি কি স্পর্শ কাতর সিম্প্যাথিটিক ও সিস্টিমেটিক জিনিস থাকে তা ভাবলে বিস্মৃত ও চমৎকৃত হতে হয়। যেমন পুরুষের যৌনাঙ্গ হতে বীর্য উৎপাদন হতে কি কি অর্গানস ও পার্ট ব্যবহৃত হয়ে থাকে যার নাম শুশু দেয়া হলো:- Spermatic Cords, Testicular artery, Ductus deferens, Head of epididymis, Deferential artery, Pampini form plexus Semiinferus tubulus, Mediastinium, Centripetal artery Tunica albuginea, Tail of  epdidymis Capsular artery, Blader, Pubicbone, Semical vesicale, Corpus cover, nosum, Rectum, ejaculatory duct, corpus spongiosum, Prostrate glan, Bulbourethral, Balbourethral gland, Anus, Penis, Urethra Glans erethral opening, testis, spermetazoa Serotum. উল্লেখ্য বাংলা শব্দ দিয়ে সুবিধা হবে না। অণ্ডকোষে (Scrotum) যা যা থাকে, বিশেষ করে অনেক তারের মতো কর্ট পেঁচানো কি থাকে কেন থাকে কি জন্য থাকে? ইত্যাদি জানার ও বুঝার আগ্রহ কেউ অস্বীকার করতে পারে না। অনেকেই বলবেন এসমস্ত বলে লাভ কি? যেখানে প্রতিনিয়ত পরাশক্তির খেলা চলে, উপনিবেশবাদ এবং ধাক্কা সামলাতে হয়, যেখানে শুধু ঠকবাজী চলে সেখানে একটু সময় এই বিষয় জানা নিজেকে কিছুটা মুক্ত মনে করা বলে মনে করি। স্ত্রী লিঙ্গেরও ঠিক এইরূপ বর্ণনা দেয়া যায় তা জানা উচিত। শুধু অন্ধ্যের মত জীবন কাটিয়ে দেয়ার মধ্যে কোন স্বার্থকতা নেই। এখন পরকালে এই সিস্টেম অচল, এখানে সবই অনন্ত, সবই স্থায়ী, সবই নিত্যনতুন অসমি, যার বর্ণনা একাধিকভাবে দেয়া হয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে মানুষকে তার জন্মের পূর্বের ইতিহাস এবং মৃত্যুর পরের ঘটনা জেনে নিতে হবে। সাধারণত বলা হয় পরকালে যা হয় হবে, আল-কোরআনের শিক্ষাও কেউ নিতে চায়না বা প্রয়োজন মনে করে না। এসবই চলছে হাওয়ার উপর। কিন্তু দেশে দেশে যুগে যুগে যে কৃষ্টি ও সভ্যতা চলে এসেছে তাতে ভালো-মন্দ, নীতি আদর্শ বারে বারে হোচট খাচ্ছে, তবে আসার কথা ১০০ বছর পর পর ১টি করে প্রাকৃতিক দূর্যোগ নেমে আসে এবং বন্যার পানিতে সব তলিয়ে যায়, অথবা ভূমিকম্পের ধ্বংস লীলায় সবই উলোট পালট হয়ে যায় অথবা পারমানবিক যুদ্ধে ব্যাপক প্রাণহানী ঘটে ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি মানুষকে পুন:বার জীবন গড়ে তুলতে বাধ্য করে। পরিশেষে বলতে হচ্ছে আকাশেরঐ ঠিকানায় পৌঁছানই হচ্ছে মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য যা মৃত্যুর পর পাওয়া রাব্বানা মা খালাকতা হাযা বাতিলা। সেখানে পৌঁছানোকেই জীবনের পরিপূর্ণতা বলা হয়ে থাকে যা প্রাপ্তিতেই মানুষ পরম শান্তি লাভ করবে। হতে পারে তা অবিশ্বাস্য কিন্তু জীবন আসে কোথা থেকে সেটাইতো সবচেয়ে বেশী অবিশ্বাস্য এবং গবেষনা নির্ভর। সেহেতু স্রষ্টাকে বুঝতে হলে, সৃষ্টিকে বুঝতে হবে, সৃষ্টিকে বুঝতে হলে বিজ্ঞানকে বুঝতে হবে, বিজ্ঞানকে বুঝতে গিয়ে অদৃশ্য শক্তির কাছে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। কি অপরূপ রূপের মহিমায় সমীকরণ অনন্ত ঘুর্ণনের চাকায় ঘুরছে আর আল্লাহর পক্ষে সবই সম্ভব। মনটা খাঁ খাঁ করে, আনচান করে, ধূ ধূ বালুচর মাঝে মাঝেই যমুনার চরে বেড়াতে যাই। সেখানে বালুচরের স্তুপচিকচিক দিগন্ত জোড়া খোলা আকাশ মিশে গেছে এবং নদী তার যৌবন হারিয়ে ক্ষীণ স্রোত ধারা দূরের গ্রামগুলোকে মায়াবী মনে হয়। ইদানীং নদী খনন করে মরুকরণ প্রক্রিয়াকে রুখে দেয়ার যে প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে শত শত নদী মরা গাং খাল বিল, জলাশয় সবই প্রাণ ফিরে পাবে সত্য কিন্তু প্রকৃতির ধারাই যদি বদলে যায়, পরিবেশবাদীরা যত চেষ্টাই করুকনা কেন গ্রামের কৃষান-কৃষানী, গৃহস্থ, সহজ-সরল মানুষ আর ফিরে পাবে না সেই প্রকৃতির শান্ত পরিবেশ।

  • প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!