টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং ও বিলে অসঙ্গতি॥ ভোগান্তি থেকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান॥

 

 

 

মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং, বিদ্যুৎ বিলে অসঙ্গতি, দুর্নীতি ও গ্রাহক ভোগান্তির কারনে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে ভুক্তভোগী টাঙ্গাইলবাসী টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ৪জুন রবিবার সকালে প্রায় দুইঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শেষে ভুক্তভোগী টাঙ্গাইলবাসীগণ জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসকের খান মো. নুরুল আমিন এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।

Tangail-Electricity-Humain-Chain-News-1
মানববন্ধনে সরকারী বেসরকারী বিবিন্ন অফিসের চাকরীজীবী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ’সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট টাঙ্গাইলবাসী হারিকেন, চার্জার লাইট, হাতপাখা ও হাতে তৈরী নানারকম ফেষ্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহন কওে ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় মানববনধনে উপস্থিত হয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট মো. জাফর আহমেদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ও প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এডভোকেট এম এ ছাত্তার উকিল, জেলা বাসকোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া (বড় মনি), জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল জেলা ইউনিট মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড টাঙ্গাইল জেলা শাখার আহবায়ক মো. ওমর ফারুক (বিপ্লব), সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন টাঙ্গাইল পৌর শাখার সভাপতি মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবী সংগঠন “টাঙ্গাইল বাসীর জীবনযাত্রার সুবিধা অসুবিধা” গ্রুপের সদস্য মানবাধিকার কর্মী মো. শামসুর রহমান মিলন, মো. এহসানুল ইসলাম খান, আল আমিন খান প্রিন্স, তালাশ খান, মনিরুজ্জামান মনির, মো. ফরিদুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী মহব্বত হোসেন খান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাসিবুল ইসলাম পিন্টু, বিদ্যুতে অতিষ্ট মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা নুর কুতুবুল আলম পলাশ, থানাপাড়ার বাসিন্দা মো. সজীব, প্রভাষক মো. আব্দুর রহমান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজীর শিক্ষার্থী আবীর সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগনও মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে।

Tangail-Electricity-Humain-Chain-News-2

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন টাঙ্গাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের কর্তব্যে অবহেলার কারনে শুরু হয়েছে অতিরিক্ত লোডশেডিং, বিদ্যুৎ বিলে অসঙ্গতি ও গ্রাহক হয়রানি। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে সেহরী ইফতার ও তারাবীর সময় লোডশেডিং এর কারনে আমরা বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। লোডশেডিং এর কারনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং, দুর্নীতি ও বিলের ভোগান্তির কারনে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। ভোগান্তির কারনে যেকোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের ভোগান্তি ও তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম কিছুতেই কমছে না। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। কোন কোন এলাকায় প্রায় একমাস যাবৎ একটানা এক ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে, ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। প্রায় একমাস যাবৎ অফিসগামী মানুষ, শ্রমিক, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং অল্প বয়সের শিশুরা গরম ও তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে গরমের কারনে বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়া পক্স সহ অন্যান্য রোগে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে চলে এসেছে রমজান মাস।
টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের ভোগান্তি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের সাক্ষাতকারসহ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও কতৃপক্সেও টনক নড়েনি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরন) মো. শাহাদৎ আলীর কাছে বিদ্যুতের ভোগান্তির কারন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন পুরো জেলায় প্রায় ১৪০ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।
এছাড়া পৌর এলাকায় ডিভিশন ১ এর অধীনে প্রায় ২৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু আমরা ১৮ থেকে ২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। ন্যাশনাল গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এর বাইরে আর কিছুই বলতে পারবনা।
বৈল্লা গ্রিড ডিভিশন ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম এর সাথে কথা বলে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলায় ১৪৫ থেকে ১৭৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। সরবরাহ হচ্ছে প্রায় ৮০ মেগাওয়াট। এরমধ্যে পৌর এলাকার চাহিদা প্রায় ৩০ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ ঘাটতি ও ট্রান্সফরমার সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশের ওভার লোডিংয়ের কারনে লোডশেডিং হচ্ছে। তিনি আরো বলেন প্রয়োজনের তুলনায় বর্তমানে কম বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে, একারনে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই এ সমস্যা কমতে পারে।কথা হয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের সহকারী প্রকৌশলী আল হেলাল আজাদের সাথে। তিনি বলেন বিদ্যুতের লোডশেডিং খুব একটা হচ্ছেনা। লোডশেডিং বেশী হলে আমরাই ব্যবস্থা নেব।
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে গ্রাহকের ভোগান্তিঃ
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সারা টাঙ্গাইল জুড়ে শুরু হয়েছে জণদূর্ভোগ। প্রতিদিন সাবালিয়ায় বিদ্যুৎ অফিসে বিলের জন্য ভীর করছে শতশত ভূক্তভোগী গ্রাহক। কেউ কেউ দুই তিন মাসের বিলের কোন কাগজ পায়নি, অনেকেই বিল পরিশোধের পর আবার ওই বিল যোগ হয়ে বাড়তি বিল এসেছে।
কারো কারো আগে যেখানে পাঁচশত থেকে সাতশত টাকা বিল আসত সেখানে দিগুন এমনটি তিনগুন পর্যন্ত বিল এসেছে। কলেজপাড়ার গ্রাহক মোস্তাফিজুর রহমান ২৮মে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে আসেন মিটারের সাথে বিলের গড়মিল দেখে। যাচাই করে দেখা যায় মিটারের অতিরিক্ত সাড়ে আটশত ইউনিটের বিল তাকে দেয়া হয়েছে। দেওলার গ্রাহক এডভোকেট প্রবীর কুমার মোদক বিদ্যুৎ অফিসে আসেন নতুন আরেকটি সমস্যা নিয়ে। তার বাসায় গত মাসে বিল এসেছে ২৮১ টাকা, এইমাসে বিল এসেছে ১৫৭৯ টাকা। বেসরকারী চাকরীজীবী মুকিম জানায়, তার বাসায় প্রায় তের মাস যাবৎ সে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছে। প্রতিমাসে পাঁচশত সাতমত কিংবা আটশত যে টাকা বিল এসেছে, সে তার বিল সময়মত পরিশোধ করেছে। কিন্তু হটাৎ করেই এ মাসে তার বিল এসেছে তের হাজার টাকা।
পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডেও বাসিন্দা মো. ওয়াহেদুজ্জামান ৩ মাস যাবৎ বিলের কোন কাগজই পায়নি।
টাঙ্গাইল এজি অফিসের কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেন বলেন বিলের সমস্যার সমাধান করতে প্রায়ই বিদ্যুৎ অফিসে যাই। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। দিনদিন ভোগান্তি বাড়ছেই। এরকম অনেকেই এধরনের ভোগান্তিতে পড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিলের সমস্যা নিয়ে আসা লোকজনের সাথে বিল প্রদানকারী লোকজনের বাকবিতন্ডা লেগেই রয়েছে। বাক বিতন্ডা থেকে যেকোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে প্রায় সকলকেই।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সহকারী প্রকৌশলী আল হেলাল আজাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে জানা যায় বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকদের কাছে পৌছানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নতুন প্রতিষ্ঠান মুন পাওয়ারকে। বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকগণ কেন সময়মত পাচ্ছেনা ও বাড়তি বিল কেন আসছে জানতে চাইলে মুন পাওয়ার টাঙ্গাইলের প্রজেক্ট ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, আমরা নতুনভাবে দায়িত্ব নিয়েছি। আমাদের স্টাফরা নতুন। কাজ বুঝে উঠতে ও গ্রাহকদের বাসাবাড়ি চিনতে কিছুটা সময় লাগছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হবে।
বিদ্যুৎ চুরির ঘটনাঃ বিলের ভোগান্তির সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা। টাঙ্গাইলের বিসিক শিল্প নগরীর উত্তর পূর্বদিকে এ আর টেক্সটাইল মিল নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় মিলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যন্ত্রাংশ বিক্রি করার পর মিলের বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে রাতে চোরাই লাইন ব্যবহার করা হচ্ছে। অব্যবহ্রত মিলের ভিতর ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ও অটোর ব্যাটারী প্রায় প্রতিদিন রাতে চার্জ দেয়া হয়।
এরকম টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এরাকায় বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নয়তো বিদ্যুত অফিসে কর্মরত স্টাফদের সাথে অবৈধ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে শহরের আনাচে কানাচে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে এভাবে প্রতিরাতে বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে।
এ কারনে লোডশেডিংসহ অতিরিক্ত বিলের বোঝা গ্রাহকদের বইতে হচ্ছে। বিভিন্ন যায়গায় অবৈধভাবে বিদ্যুত সংযোগ ও বিদ্যুৎ চুরি যারা চুরি করছে তাদের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিবেন জানতে চাইলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী সহকারী প্রকৌশলী আল হেলাল আজাদ বলেন এব্যপারে আমার কিছু করনীয় নেই। এটা আমার দায়িত্বে পড়েনা। এবিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেন।
লোডশেডিং, বিদ্যুতবিভ্রাট ও লো-ভোল্টেজের কারণে সকল কাজই ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। যান্ত্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিদ্যুতের ঘনঘন আসা-যাওয়া এবং গ্রামে দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিংয়ে আবাসিক গ্রাহকেরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। বিদ্যুতের ঘনঘন আসা-যাওয়ার ফলে ইন্টারনেট সংযোগেও দেখা দিয়েছে বিভ্রাট। ফলে অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জরুরী কাজসহ সংবাদকর্মীদের সংবাদ আদান প্রদানে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুত বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় দুর্বলতার কারণে একটু ঝড়বৃষ্টি হলেই বিদ্যুত বিভ্রাট সৃষ্টি হয়। দুর্বল সঞ্চালন, বিতরণ ব্যবস্থা এবং বেশকিছু পুরনো ও নিম্নমানের ট্রান্সফরমারের কারণে এই বিভ্রাট বেশি হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে শহর ও গ্রামাঞ্চলে। বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের সেলফোনগুলো বেশীরভাগ সময়া রিং হওয়ার পর কেউ রিসিভ করেনা। ঘনঘন লোডশেডিং হওয়ায় প্রচন্ড গরমে শিশু, নারী ও বয়ষ্ক মানুষের কষ্টের সীমা নেই। গরমে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি বাড়ছে। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুত নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য এখন প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা। টাঙ্গাইল জেলার ভূক্তভোগী গ্রাহকদের কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেন, ঝড় বৃষ্টি হওয়ার আগে একটু বাতাস শুরু হলেই বিদ্যুত লাইন বন্ধ হয়ে যায়।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে ৪জুন রবিবার সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী টাঙ্গাইলবাসী। সহযোগীতায় ছিল টাঙ্গাইলবাসীর জীবন যাত্রার সুবিধা অসুবিধা নামক সেচ্ছাসেবী সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রীর সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।


 

 

 

  • কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!